প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ এপ্রিল : রাজ্য জুড়ে কোভিডের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও লাফিয়ে বাড়ছে ’কোভিড ’ আক্রান্তের সংখ্যা । শনিবার এক দিনে এই জেলায় ৪৪৮ জনের ’কোভিড পজিটিভ’ ধরা পড়েছে ।তার পর থেকে পুলিশের তরফে শুরু হয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ,মুখে মাস্ক পরা ও অকারণে ঘর থেকে বাইরে না বের হওয়ার বার্তা প্রচার । এত কিছুর পরেও এমন অতিমারীর মধ্যেই প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ’কোভিড বিধি’ শিকেয় তুলে শনিবার থেকে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের কয়রাপুরে বসছে মেলা।সেই মেলা প্রাঙ্গনে ’লেটো গানের’ আসর যেমন বসেছে তেমনই সক্রিয় ’জুয়ারড়িরাও’ । অতিমারীর মধ্যে কারা কি ভাবে এই মেলার আয়োজন করলো তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে ।
কয়রাপুরের বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে,
প্রতিবছর রামনবমীর পর থেকে কয়রাপুর গ্রামে দেবী মায়ের মন্দির লাগোয়া জায়গায় মেলা বসে।গত বছর কোভিড অতিমারির কারনে লকডাউন চলায় মেলা বসে নি। অথচ এই বছর ভোট মিটতে না মিটতে না মিটতে কোভিড সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে চলার সত্ত্বেও মেলার আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তরা ।যা নিয়ে হতাশ এলাকার সচেতন নাগরিকরা ।
মেলা ও পুজো কমিটির কর্তা ষষ্ঠী হুঁই অবশ্য মেলার আয়োজন নিয়ে অনিয়মের কিছু দেখছেন না । তিনি দাবি করেন ,’সরকারী নিয়ম ও নির্দেশিকা মেনেই মেলার আয়োজন করা হয়েছে । তবে মেলা তলায় জুয়ার আশর বসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিন পাশ কাটান’ । যদিও আউশগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায় পরিস্কার জানিয়েদেন,’মেলার আয়োজন হয়েছে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই’। মেলার আয়োজনের কথা জেলার পুলিশ সুপার অজিত কুমার সিং বলেন, মেলার অনুমতি কে দিল দেখে নিচ্ছি। এখন অতিমারীর মধ্যে মেলার আয়োজন করা হলে সমস্যা বাড়বে।’
আতঙ্কিত এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন , মেলাতলায় বাইরের গ্রামের লোকজনও ব্যাপক ভাবে ভিড় জমাচ্ছেন ।এর কারণেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে । তাঁরা চান প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিয়ে অতি সত্ত্বর মেলা বন্ধ করে দিক । এলাকার সচেতন বাসিন্দারা এমনটা দাবি করলেও মেলার আয়োজন নিয়ে নিরব রয়ে গিয়েছেন বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ।।