এইদিন ওয়েবডেস্ক,দত্তপুকুর(উত্তর ২৪ পরগনা),২৭ আগস্ট : ফের এরাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে । এবারে আজ রবিবার সাতসকালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ অঞ্চলের মোছপোল পশ্চিমপাড়ার একটা বাজি কারখানায় ৮ থেকে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । আহত আরও বহু মানুষ । তার মধ্যে ৩ শিশু সহ ১০ জন আহতকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে একটি দোতলা বাড়ি সম্পূর্ন ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে । আশপাশের বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে । ফলে আদপেই সেখানে বাজি তৈরি করা হচ্ছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে ।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতা তথা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় টিভি ৯ বাংলাকে সরকারি অভিযোগ করেছেন,’ওটা বাজি কারখানা নয়। ওটা বোমা কারখানা । ওখানে বাজি কারখানার আড়ালে বোমা কারখানার চলত । আমি পুলিশের সাথে মিটিং করে আইসিকে অবিলম্বে এই কারখানা বন্ধ করার কথা বলেছিলাম । সেলিম আলি নামে এক ব্যক্তি এই কারখানা চালাচ্ছিল । ওর নাম করে বলেছিলাম। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ।’
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর দত্তপুকুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গেছে গোটা রাজ্যে । এনিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ছে রাজ্য সরকার । আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির অভিযোগ,’এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জড়িয়ে আছে ।’ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ফেসবুক পেজে লিখেছেন,’বারুদের স্তুপের উপর বসবাস করছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। আর কতগুলো প্রাণ গেলে হুঁশ ফিরবে মমতা ব্যানার্জির। তীব্র ধিক্কার জানাই…স্থান : দত্তপুকুর ।’ বিজেপির তরফে এনআইএ তদন্তের দাবিও তোলা হয়েছে।
জানা গেছে, দত্তপুকুর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত ভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে । বিস্ফোরণ স্থলে তদন্তে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের আইজি দক্ষিণবঙ্গ ।।