দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৫ আগস্ট : ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশন সফল । বর্তমানে রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে । চালাচ্ছে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান । আজ শুক্রবার ইসরো জানিয়েছে,’রোভারের সমস্ত পরিকল্পিত গতিবিধি যাচাই করা হয়েছে. রোভারটি সফলভাবে প্রায় ৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে ।’ এদিকে চন্দ্রযান-৩ মিশনের অংশ হয়েছিলেন এরাজ্যের বেশ কয়েকজন গবেষক । তাঁদের মধ্যে অন্যতম পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার মুরাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা অভিষেক সাহা । বাঁকুড়া চাতরা রামাই পণ্ডিত মহাবিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের প্রধান অভিষেক মূলত চাঁদের মাটিতে কি কি খনিজ পদার্থ এবং রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন । তিনি জানিয়েছে,চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে তিনটি এমন মৌলের অস্তিস্বের সন্ধান মিলেছে যেগুলি দুস্পাপ্য । তার মধ্যে একটি মৌল পৃথিবীতে একপ্রকার পাওয়া যায় না বললেন চলে । তবে মৌল গুলির নাম জানাননি অভিষেকবাবু ।
মুরাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা অভিষেক সাহার পড়াশোনা ভাতার মাধব পাবলিক হাইস্কুল থেকে । মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফলাফলের পর তিনি উচ্চ মাধ্যমিকে বর্ধমান টাউনস্কুলে ভর্তি হন । তারপর তিনি মানকর কলেজ থেকে ভুগোল বিষয়ে বিএসসি এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি করেছেন । করেছেন সমুদ্র বিজ্ঞান নিয়ে পিএইচডি । বর্তমানে বাঁকুড়ার চাতরা রামাই পণ্ডিত মহাবিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের প্রধান অভিষেক । দেশ জুড়ে মেধার অন্বেষণে ইসরো থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেনসিং’ সেন্টার বা যে নোডাল সেন্টার করা হয়েছে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সেন্টারের ডায়রেক্টর পদেও রয়েছেন অভিষেক সাহা । সেই সূত্রে চন্দ্রযান- ৩ মিশনে ডাক পেয়েছিলেন তিনি ।
এদিন ইসরো জানিয়েছে,রোভার পেলোড লিবস (LIBS) এবং অ্যাপক্স(APXS) চালু আছে।প্রোপালশন মডিউল, ল্যান্ডার মডিউল এবং রোভারের সমস্ত পেলোড স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছে । অভিষেক জানান,রোভার প্রজ্ঞানের দুটি পেলোডের মধ্যে লিবসের কাজ লেজারের মাধ্যমে কোনো জায়গায় বিচ্ছুরণ ঘটানো । ওই বিচ্ছুরণ থেকে প্লাজমা তৈরি করা এবং নির্দিষ্ট খনিজ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা । আর আলফা পার্টিকেল এক্সরে অ্যাণ্ড ফটোমিটার বা অ্যাপক্স-এর কাজ হল চাঁদের মাটিতে বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে ফোটন কণা দেখে খনিজের সন্ধান করা । তিনি বলেন,’ইতিমধ্যে অনেক খনিজের সন্ধান দিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান । তার মধ্যে তিনটি খুবই দুষ্প্রাপ্য ।’।