দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৩ আগস্ট : সাত বছরের ভাইয়ের ছুড়ে দেওয়া লোহার কাঁচির সূচালো অগ্রভাগ গেঁথে যায় ১১ বছরের দিদির মাথায় । তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে । হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তখন ছিলেন চিকিৎসক ভাস্করজ্যোতি বর্মন । তিনি অস্ত্রপচার করার সিদ্ধান্ত নেন । শেষ পর্যন্ত শল্য চিকিৎসক তাপস সরকার সহ অন্যান্যরা অস্ত্রপচার করে ওই কাঁচি বের করে পায়েল খাতুন নামে ওই কিশোরীর প্রাণ বাঁচান । কিশোরীকে বর্তমানে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ।
জানা গেছে,কাটোয়া থানার অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের বহড়া গ্রামের বাসিন্দা ফকির শেখ ও সোনালী বিবির মেয়ে পায়েল । পায়েল পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে । তার ভাই রিহান প্রথম শ্রেনীর পড়ুয়া । প্রতিদিনের মত আজ বুধবার সকালে কাজে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন ফকির । সোনালী বিবিও কিছুক্ষণ বিড়ি বেঁধে গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । এদিকে রিহান মায়ের বিড়ির পাতা কাটার লোহার কাঁচিটা নিয়ে খেলা করছিল । ভাই কোনো কিছু অঘটন ঘটিয়ে না ফেলে এই ভেবে কাঁচিটি রিহানের হাত থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল পায়েল । আর তখনই দিদিকে লক্ষ্য করে কাঁচিটি ছুড়ে দেয় রিহান । তারপরেই পায়েলের মাথার পিছনে ডানপাশে গেঁথে যায় কাঁচির সূচালো অগ্রভাগ ।
জানা গেছে,মাথায় কাঁচি গেঁথে যাওয়ার পর মেয়ের কান্নাকাটি শুনে সেখানে ছুটে আসেন সোনালী বিবি । তিনি লোকজন ডাকাডাকি করেন । তারপর মেয়েটিকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । অবশেষে কাটোয়া হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় প্রাণ ফিরে পায় মেয়েটি । এজন্য চিকিৎসকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জখম কিশোরীর বাড়ির লোকজন ।।