তুমরা যাক্যে মেইয়া বল
আমরা বলি ছেল্যা-
ইটের বুঝা মাথায় লিয়ে
কাটে মুদের বেল্যা।।
ভরলে উইঠ্যে পাতা জ্বালাই
রান্না বাড়া সারে-
মেইয়া আমার বেরাইন যাথ
কুদাল হাতে করে।
দশ কে দুই বয়স হইলে
বিহা দিল খুঁজে-
শ্বশুর উয়ার গাঁয়ের মড়ল
সবাই উকে পুজে।।
মইরল মরদ মদের বিষে
মেইয়ার কি দোষ বল-
“ভাতারখাকি” বল্যে উকে
টান্যে লিয়্যে গেল।।
“ডাহিন বঠ্যে” বিধান দিল
পাড়ার মাতব্ব্যেরা-
“কাপড় ফাঁইড়ে উদমা কর”
হুকুম দিল ওরা।।
গুনীন ওঝা লাইছ্ছে দমহে
দিছে ওকে সাজা-
ছেল্যা বুঢ়া মেইয়া মরদ
পাছ্ছে বেদম মজা।।
ছুটু থাক্যে দাদার পারহা
ইস্কুল যাবার লাগ্যে-
কাঁদত কত মিয়্যা আমার
মার জুটত ভাগ্যে।।
বইলত” মাগো” শুন না কেন্যে
পড়হালিখা শিখ্যে-
চাকরী লিব্য অফিস ট তে
রাইখব তদের সুখ্যে।।
শুইনল না কেউ কথা উয়ার
বুঝা দিল নামাই-
দেখো ন ইখন সবাই মিল্যে
হচ্ছে কিমন জবাই।।
বিনতি কইরি জড় হাত কইরে
উঠ তুমরা জাগ্যে-
বেটার সাথে বিটিটা কেও
পাঠাও পড়হার লাগ্যে।।
বেটা বেটি একই সমান
সিঁধায় যদি কানে-
ডাহিন বলে নাইরে কুছু
লিব্যে সেদিন মানে।।
য্যে মেইয়া কে ডাহিন বলে
মারে খ্যেদাইছিলে-
উখড়াব্যে স্যেই ডাহিন পথা
বতর টা ঠিক পাল্যে।।