এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিন্ধু,২১ আগস্ট : পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রানীপুরে ১০ বছরের এক কিশোরীর উপর পাশবিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পীর আসাদ জিলানির বিরুদ্ধে । জিলানির বাড়িতেই ধর্ষণের শিকার ও মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর । অভিযুক্তের দাবি পেটের ব্যথায় মারা গেছে মেয়েটি । যদিও নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, তার মেয়ের উপর নির্যাতনের সমস্ত চিহ্ন রয়েছে । তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে গর্ভাশয় ফেটে আভ্যন্তরীণ রক্ত ক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে তার মেয়ের ।
প্রসঙ্গত,পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশকে হিন্দুদের বধ্যভূমি বলা হয়ে থাকে । পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের উমরকোট, ঘোটকি মিরপুর খাস এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় হিন্দুদের একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা রয়েছে যেখান থেকে সংখ্যালঘু হিন্দু মেয়েদের ব্যাপকভাবে অপহরণ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরের ঘটনা বারবার সামনে এসেছে । এই অঞ্চলে ঘটকিতে কুখ্যাত মিয়াঁ মিঠু খ্যাত ভরচুন্ডি শরীফ শুফি মাজার রয়েছে, এটি পার্শ্ববর্তী এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দু মেয়েদের সংগঠিত অপহরণ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার জন্য এটি একটি শক্তি কেন্দ্র । সামারাওয়ের আরেক সুফি মাজার পীর আইয়ুব জান সারহান্দির বিরুদ্ধেও সংখ্যালঘু হিন্দু মেয়েদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধ এবং তাদের ধর্মান্তরিত করার জন্য অভিযোগ করা হয় ।
দিন পাঁচেক আগে সিন্ধু প্রদেশের উমরকোট জেলার তান্ডো আল্লাহায়ার গ্রামের ১১ বছর বয়সী এক হিন্দু নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে বন্দুকের মুখে অপহরণ করেছিল আজিম ঝুমরানি নামে ৪০ বছরের এক মুসলিম ব্যক্তি । গত ১৬ আগস্ট অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসে । এখন অনুমান করা হচ্ছে যে আগামী দিনে পুলিশ মেয়েটিকে অপহরণকারীর হাতেই তুলে দেবে এবং তাকে জোরপূর্বক ধর্মান্তর এবং নিকাহ করা করতে বাধ্য করা হবে ।
কিছু অধিকার গোষ্ঠীর দ্বারা অনুমান করা হচ্ছে যে এনিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ১০০০ হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে এবং তাদের অপহরণ কারীদের দ্বারা যৌন শোষণের পর জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে । তবে পাকিস্তানে হিন্দু গোষ্ঠী এবং তাদের নেতাদের আশঙ্কা যে হিন্দু মেয়েদের উপর অপহরণ এবং হামলার প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি,কারন বেশিরভাগ শিকার সমাজের দরিদ্র প্রান্তিক শ্রেণির এবং অনেক ক্ষেত্রেই রিপোর্ট করা হয়নি অথবা স্থানীয় থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়নি । তাঁদের দাবি,সংখ্যালঘু হিন্দু মেয়েদেরকে অপহরণ করে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করার উদ্বেগজনক হার ইঙ্গিত দেয় যে সিন্ধু প্রদেশে হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে ।।