খিদে কি ?
তাকি শুধুই ফাঁকা পেটের আর্তনাদ!
তবে ওই রাজার ছেলে স্বর্ণ মহল ছেড়ে ; দিন-রাত অমন খালি পায়ে ঘুরে বেড়ায় কেন !
ও কেমন খিদে ওর ?
একবার তাকিয়ে দেখ কত জন্মের অপ্রাপ্তি বিষণ্ণ দুটো চোখে।
বুড়ো বটগাছের শাখায় জটা বেঁধে ওই যে সন্ন্যাসী ;
কিসের খোঁজে অমন অচৈতন্য যুগের পর যুগ,
বলতে পারো ?
সন্ধ্যার ঘাটে যে গণিকা প্রতিদিন খোঁপার ফুল, কপালের কুমকুম, চোখের কাজল ফেলে যায় এই নদীতে ,
সে নারীর ঠোঁটের দিকে একবার তাকিয়ে দেখ ; ডুবন্ত সূর্যের শেষ আলোয়
কি ভীষণ তৃষ্ণা ফুটে উঠেছে।
এই অসীম আকাশের দিকে যে প্রশ্ন ছুঁড়ে বহমান নদী বিরামহীন ছুটে চলেছে আজও,
কি ছিল সে উওর বলবে ?
দীর্ঘ ক্ষয়রোগে যে বৃদ্ধ মৃত্যুকে ডেকে ছিল স্বেচ্ছায়
শেষ বারের মত তার চোখের চাহুনি দেখেছিলে?
কি ছিল সেই চাওয়া !
মরা নদীর বুকের শূন্যতা নিয়ে যে মাটি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে শুনেছো তার কান্না,
কি চায় সে ?
কেবল বৃষ্টি নাকি আরও কিছু !
ফেলে আসা মলিন স্মৃতির রাত ; দিক ভ্রষ্ট নৌকার চরে আটকে থাকা অনিচ্ছাকৃত সময় ।
কি চায় সে ?
কিছু ধূসর বর্ণ বিধ্বস্ত ঘুরে বেড়ায় শব্দহীন বাণে
কিছু স্তর ঘুমন্ত প্রদেশ নতুনের খোঁজে।
কিছু শস্য ভরা রঙিন ক্ষেত পাখির কলতানে
কিছু মাটি এমনি পোড়ে বৃষ্টিহীন দেশে।।