এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার (পূর্ব বর্ধমান) ১৬ আগষ্ট: প্রায় তিনসপ্তাহ আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে অপহরণ করে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছিল। তারপর চার লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে তাকে ছাড়া হয়। ওই অপহরণ কাণ্ডে ভাতার থানার পুলিশ গ্রেফতার করল আরও এক অভিযুক্তকে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম কচি মল্লিক। তার বাড়ি ভাতারের এরুয়ার গ্রামে । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার পর থেকে ফেরার ছিল অভিযুক্ত। সূত্র মারফত খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ এরুয়ার অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন । এই নিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অপহরণ কাণ্ডে মোট তিনজনকে গ্রেফতার করল ভাতার থানার পুলিশ।
গত ২৬ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মঙ্গলকোটের কাসেমনগর শাখার ম্যানেজার শ্যামাশিষ হাজরা ভাড়া করা চারচাকা গাড়িতে ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন। ভাতার বাজারের কদমতলা পাড়ার বাসিন্দা শ্যামাশিষবাবু। সেদিন ব্যাঙ্কে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে অন্য একটি ব্যাঙ্কের এক ব্যাঙ্ক কর্মীও ছিলেন। শ্যামাশিষবাবু পুলিশকে জানান, যাওয়ার পথে বাদশাহী রোডে ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামের কাছে তাদের গাড়ি আটকানো হয়। তারপর ওই গাড়িটি ঘুরিয়ে শ্যামাশিষবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় এরুয়ার গ্রামের একটি নির্জন জায়গায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গীকে আধঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শ্যামাশিষবাবুকে প্রায় ঘন্টা চারেক আটকে রাখা হয়। চলে মারধর। অভিযোগ , তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় । তারপর চার লক্ষ টাকা শেষপর্যন্ত রফা হয়। শ্যামাশিষবাবুর কাছে ব্যাঙ্কের চাবি নিয়ে অপহরণকারীদের দুজন কাসেমনগরে ওই ব্যাঙ্কে যায়। ব্যাঙ্কে তার আগে শ্যামাশিষবাবুকে দিয়ে ফোন করানো হয়। সেখান থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়ে আসার পর শ্যামাশিষ হাজরাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ছাড়া পেয়ে ওদিনই শ্যামাশিষ হাজরা ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ওদিন রাতেই দুজনকে গ্রেফতার করে।দুজনেই মঙ্গলকোট এলাকায় বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে ছিল বা ভাড়া করা গাড়িটির চালকও।দুজনের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে তিন লক্ষ ৯২ হাজার টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের জেরা করে তখন আরও কয়েকজনের নাম জানতে পারা তায়। তাদের মধ্যে ছিল ধৃত কচি মল্লিকের নামাও। এরপর পুলিশ কচি মল্লিককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায় বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যদিও এই অপহরণের ঘটনায় ঘটনায় ধৃতরা পুলিশের কাছে দাবি করেছিল অপহরণের উদ্দেশ্যে নয়, পূর্বরাগ থেকেই ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে তারা তুলে নিয়ে গিয়ে টাকা আদায় করেছিল। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত সেই ধরনের কোনও অভিযোগের প্রমাণ এখনও পায়নি। অপরহণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ধারাতে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ ।।