অসময়ে ভেঙ্গে গেল আরও এক তরুণ স্বপ্ন
নিভে গেল আরও এক সম্ভাবনার জীবন দীপ!
একবুক আশা নিয়ে …বাবা-মা
একমাত্র পুত্র সন্তানের নাম রেখেছিল–“স্বপ্ন দীপ”
মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ছেলে
দূর শহরের ঐতিহ্যমণ্ডিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে
অনেক, অনেক, অনেক পড়বে সে……….
গ্রামের থেকে ছুটে আসে
বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের দোরগোড়ায়
যে বিশ্ববিদ্যালয় জন্ম দিয়েছে
শত শত সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, স্থপতিদের,
পথ দেখিয়েছে নতুন নতুন বিপ্লবের ;
ক’দিন না যেতেই
পড়ে কিছু কামাতুর, নেশাতুরের ফাঁদে,
ওরা সংজ্ঞাহীন ঔদ্ধত্যপূর্ণ সামাজিক দুষ্টু কীট,
ছেলেটি শেষবারের মতো কেঁদে কেঁদে বলেছিল —
” আমি সমকামী নই..” বাকীটা অনুমান সাপেক্ষ ;
ছেলেটি আজ ছবি
ছবির দৃশ্যপট পুরানো
মুখটা নতুন, ঘা-টা গভীর ও দগদগে,
একটা সম্ভাবনাময় প্রতিভার জীবন প্রদীপ
হঠাৎ থেমে গেল এক আকস্মিক দমকা হাওয়ায় !
প্রতিভার সাক্ষ্যবাহী শংসাপত্র গুলোতে
বিশ্রী ভাবে লেগে আছে জমাট বাঁধা রক্তের দাগ !
তার পরনে পোশাকের পরিবর্তে অঙ্কিত ছিলো
জন্মার্জিত দারিদ্র্যের সকরুণ আলপনা।
কী পরিমাণ তৃপ্তি পেল সেই নরপশু গুলো?
কতটা আমোদ উপভোগ করলো–
কেতাবি ডিগ্রীধারী বদ্ বখাটের দল ? এই ভাবে
চিরতরে মুছে দেয় নবীন স্বপ্নের রঙিন আশা!
ছাত্রাবাসের ত্রিতল থেকে ঝাঁপ দিতে বাধ্য হয় !!
ওদের সীমাহীন ঔদ্ধত্যের বিষাক্ত নিঃশ্বাস
না জানি আর কত অকালে নেভাবে “স্বপ্ন দীপ “..
যদি না এর প্রতিকার হয়—–
আজও কি প্রতিকার হীন শক্তের অপরাধে
বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদবে?