এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুরুগ্রাম,১০ আগস্ট : রাজস্থানের ভরতপুর জেলার ঘটমিকার বাসিন্দা নাসির ও জুনায়েদকে হত্যার বদলা নিতেই হরিয়ানার নুহ(Nuh) জেলার মেবাতে মহাদেবের জলাভিষেক যাত্রায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছিল । পুলিশের জেরায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে হিন্দি সংবাদপত্র জাগরণের প্রতিবেদনে জানা গেছে । সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ধৃত চার আসামি কবুল করেছে নাসির ও জুনায়েদ তাদের দলেরই সদস্য ছিল । ওই দু’জন পুড়ে মারা যাওয়ার পর দলের বাকি ৫০ জন সদস্য মিলে গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । মেবাতে হাঙ্গার ঘটনায় দিন চারেক পর ভরতপুরের পাহাড়ী থানা এলাকার সাভলার গ্রামের বাসিন্দা সেলিম, সাবির, আশফাক এবং ঘিসদা গ্রামের বাসিন্দা আলতাফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে নুহ পুলিশ । ধৃতদের মধ্যে সেলিম সাইবার প্রতারণার মামলায় এবং আলতাফ গরু চোরাচালানের মামলায় অভিযুক্ত ।
তবে হরিয়ানার মেবাতে সাম্প্রদায়িক হিংসায় শুধু রাজস্থানই নয়,উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার কোসি এলাকার কয়েকজন যুবকের জড়িত থাকার প্রমান নুহ জেলা পুলিশ পেয়েছে এবং তারা মথুরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানা গেছে ।
জানা গেছে,ধৃত সেলিম, সাবির, আশফাক ও আলতাফ পুলিশের জেরায় জানিয়েছে নাসির ও জুনায়েদ পুড়ে মারা যাওয়ার পর পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি,বরঞ্চ গোরক্ষকদের পক্ষ নেওয়া হয়েছে । এই কারনে তাদের দলের সদস্যরা ক্ষিপ্ত ছিল । সেই কারনে দলের পঞ্চাশ জন যুবক মিলে হিন্দুদের ধর্মীয় তীর্থস্থান আক্রমণ করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল । হিংসার দশ দিন আগে তারা বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে স্থানীয় মুসলিমদের জন্য জলাভিষেক শোভাযাত্রায় হামলার জন্য উসকানি দেয় ।
এদিকে চার দাঙ্গাকারী ধরা পড়লেও এখনো অধরা বাকিরা । হরিয়ানা পুলিশ রাজস্থানে লুকিয়ে থাকা দাঙ্গাকারীদের ধরতে রাজস্থান পুলিশের সাথে যোগাযোগ করছে । মথুরার কাছে কোসি গ্রামে বেশ কয়েকজন দাঙ্গাকারী লুকিয়ে থাকায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ নুহ পুলিশের সাথেও যোগাযোগ করেছে বলে জানা গেছে ।।