শ্রাবণের অঝোর ধারায়
অবগাহনে মনের মুক্তিস্নান,
তোমার গীতাঞ্জলির স্পর্শে
যেন অমৃতসুধা করি পান।
তোমার কিরণের শোভায়
আলোকিত তরুশাখা,
তোমার গানের সুরের মূর্ছনায়
প্রেমের সুরভি মাখা।
তোমার সৃষ্টির সম্ভারে সজ্জিত
আজ সাহিত্যের সিংহাসন,
স্মৃতির পাঠাগার পূজার্চনায়
প্রিয় শান্তিনিকেতন।
তোমার লেখনীতে সব প্রশ্নের
উত্তর খুঁজে পাই,
শত বর্ষের অধরা বাণীর
পরিচয়ে তুমি তাই।
মনের মতন হাজার কবিতা
সৃষ্টিতে সহস্র গান,
রবীন্দ্রনাথ রবি হয়ে তুমি
দিয়েছো অজস্র দান।
সমৃদ্ধ,ঋদ্ধ তোমার কলমে
বারবার তাই স্মরি,
তোমার সৃষ্টিকে পূজা করে
অন্তর শীতল করি।
অমর নহে কেউ তবুও
তুমি যে চির অমর,
নোবেলজয়ী কবি হয়ে
সার্থক তোমার সমর।
তোমার রত্ন মাণিক্য নিয়ে
সময়ের কালযাপন,
যুগ যুগান্তের ইতিহাসে তুমি
সকলের প্রিয় জন।
প্রখর রৌদ্রে তোমার পরশে
ধরার শীতল সুখ,
শ্রাবণের এই বাইশে যেন
বুক ভরা এক দুখ।
স্মরণে মননে তোমার চরণে
শ্রদ্ধাবনত প্রণতি,
সৃষ্টির বুকে চির রবি হয়ে
জয়গানে গাই স্তুতি।
শ্রাবণ ধারার বেলা অবেলায়
আছো তুমি হৃদস্পন্দনে,
তোমাকে নিয়ে স্বর্গসুখে
সাহিত্যের মাঝে দর্পণে।