এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিন্ধু(পাকিস্তান),০৭ আগস্ট : ভারত-পাকিস্থান বিভাজন হয়েছিল দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে । পাকিস্তান প্রথম থেকেই নিজেকে ইসলামি রাষ্ট্র ঘোষণা করলেও ১৯৭৬ সালে দেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ এবং সমাজতন্ত্র শব্দগুলি ঢুকিয়ে দিয়ে ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী । এদিকে ভারতের মুসলিমরা সমানাধিকার পেলেও অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে আছে পাকিস্তানের হিন্দুসহ সংখ্যালঘুরা । খুন,নারী অপহরণ, ধর্ষণ,জোর করে ধর্মান্তরিত করা, হিন্দুদের ধর্মস্থলসহ সম্পত্তি জবরদখল এখনো সমানে চলে যাচ্ছে । এই দুর্দশার জন্য এখন পাকিস্তানি হিন্দুরা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও জহরলাল নেহেরুর নীতিকে দুষছেন ।
দিন দুয়েক আগে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের কান্ধকোট (Kandhkot) এলাকায় ডাঃ লাজপত রায় নামে একজন হিন্দু চিকিৎসককে গুলি করে বাইক আরোহী কিছু মৌলবাদী । ওই চিকিৎসক যখন গাড়ি চালিয়ে কান্ধকোট এলাকার বাদানি বখশাপুর লিংক রোড(Badani Bakhshapur Link Road) দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন দুর্বৃত্তের দল বাইকে চড়ে এসে চিকিৎসককে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় । চিকিৎসক রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে গাড়িতে থাকা তাঁর ৮ বছরের শিশুপুত্র আদেশের(Adesh) মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায় । কিছুদিন আগেও আদেশকে প্রাণে মারার জন্য গুলি করেছিল দুষ্কৃতীরা । কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে শিশুটির পায়ে লাগে । জানা গেছে,ছেলেকে রুটিন চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন ডাঃ লাজপত রায় । আর তখনই হামলা হয় ।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রেইন ম্যান নামে এক ইউজার্স টুইট করেছেন,’সমস্ত কৃতিত্ব গান্ধী এবং নেহরুকে, যারা ১৯৪৭ সালে হিন্দু-মুসলিমদের সম্পূর্ণ অভিবাসন বন্ধ করেছিলেন । ভারতে মুসলমানরা বহাল তবিয়তে থাকলেও পাকিস্তানের হিন্দুরা সবচেয়ে খারাপ জীবনযাপন করছে ।’