এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ জুলাই : মহরম পালনের সময় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মন্দিরের সামনে ব্যারিকেড করে রাখা ও মন্দির ঢেকে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । আজ রবিবার কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সুকান্তবাবু । তিনি কয়েকটি ছবি সাংবাদিকদের দেখিয়ে বলেন,’মালদার কালিয়াচকে দূর্গামন্দিরের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছিল । চাপদাঁনিতে মন্দির ত্রিপল দিয়ে মন্দির ঢেকে রাখা হয়েছে । দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরের সামনেও বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছিল । এগুলো কোনোটিই বাংলাদেশের নয়,সবকটি পশ্চিমবঙ্গের চিত্র । এছাড়া আরও বিভিন্ন জায়গায় আছে । তবে ডায়মন্ডহারবারে বেশি করে এই ঘটনা ঘটেছে, যেখানে নাকি তৃণমূলের তথাকথিত এক নম্বর সাংসদ থাকেন ।’
তিনি বলেন,’আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, যিনি পশ্চিমবঙ্গের গৃহমন্ত্রীও, তাঁকে প্রশ্ন করতে চাই, কোনো মুসলিম সংগঠনের পক্ষ থেকে কি এরকম করতে বলা হয়েছিল ? আমরা যতটুকু জানি তাতে কোনো মুসলিম সংগঠনই আপনাদের বলেনি যে হিন্দু মন্দিরের সামনে এমন করে দিতে হবে । এখানে মুসলিম ভাইয়েরা বহু যুগ ধরে মহরম পালন করে আসছেন । তারা হিন্দু মন্দিরের সামনে তাজিয়া নিয়ে গেছেন । কোথাও তো কোনো অসুবিধা হয়নি । আজকে কি এমন হয়ে গেল যে মন্দিরের সামনে এভাবে ব্যারিকেড ও মন্দিরকে ঢেকে রাখতে হল ?’
সুকান্ত মজুমদার বলেন,’আমি পরিষ্কার অভিযোগ তুলছি,মুসলিম সংগঠনের তরফ থেকে সরকারের কাছে এই ধরনের দাবি না জানানো সত্ত্বেও, মুখ্যমন্ত্রী ও তার দলবল হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার জন্য এই অভিসন্ধি এঁটেছে । যদি কোনো মুসলিম সংগঠন এমন দাবি করত তাহলে আমরা মেনে নিতাম । কিন্তু মুসলিমদের তরফ থেকে এমন দাবি করা হয়নি বলে আমাদের কাছে খবর আছে ।’
তিনি বলেন,’দূর্ভাগ্যের বিষয় যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির এভাবে ঢেকে দেওয়ার মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা আসলে তার তোষামোদ নিকৃষ্টতম উদাহরণ ।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রতিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছেন এবং এভাবে মন্দিরে ব্যারিকেড করে ও ঢেকে রেখে তোষণের নিকৃষ্টতম উদাহরণ দিচ্ছেন । আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ৷’
প্রসঙ্গত,মহরম উপলক্ষে শনিবার বিকেলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মহরমের তাজিয়া বের করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ । কিছু কিছু জায়গায় পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতেই সড়ক পথ অবরুদ্ধ করে মহরম উপলক্ষে মাতম করা হয় । যে কারনে আটকে যায় বহু যানবাহন । ফলে চুড়ান্ত নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে ।।