এইদিন ওয়েবডেস্ক,জয়পুর,৩০ : জুলাই : সীমা হায়দার ৪ সন্তানকে নিয়ে ভারতে প্রেমিকের কাছে পালিয়ে আসার পর থেকেই খবরের শিরোনামে । ইতিমধ্যে অঞ্জু নামে এক খ্রিস্টান মহিলা স্বামী ও দুই সন্তানকে ফেলে পাকিস্তান পালিয়ে গেছে । এই দু’জনকে নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলিতে । এসব দেখে খবরের শিরোনামে আসার লোভে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানি বন্ধুর কাছে পালাতে গিয়ে রাজস্থানের জয়পুর বিমানবন্দরে ধরা পড়ে গেল এক ১৭ বছরের কিশোরী ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, গত শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে দুই ছেলেকে নিয়ে জয়পুর বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল ওই কিশোরী । মেয়েটি বিমানবন্দরের কর্মীদের কাছে পাকিস্তান যাওয়ার জন্য টিকিট দাবি করে । তার কথা শুনে প্রথমে বিমানবন্দরের কর্মীরা ভেবেছিলেন সে মজা করছে । বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের জেরায় মেয়েটি জানায় সে আদপে পাকিস্তানি । রাজস্থানের সিকার জেলার শ্রীমাধোপুরে তার মাসির বাড়ি । বছর তিনেক আগে সে মাসির বাড়ি এসেছিল । কিন্তু মাসির সাথে ঝগড়া হয়েছে,তাই সে পাকিস্তান ফিরে যেতে চায় । এদিকে মেয়েটির কথা শুনে বিমানবন্দরের কর্মীরা সিআইএসএফকে খবর দেন। এরপর তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । মেয়েটি বিভিন্ন প্রকার গল্প ফাঁদে । তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে মেয়েটি সিকর জেলার শ্রীমাধোপুরের নয়, রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা । তার বাবা-মাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয় । এদিকে থানায় বাবা-মাকে দেখে তার ভোল বদলে যায় । তখন সে জানায় যে সীমা-অঞ্জুর মত রাতারাতি বিখ্যাত হওয়ার জন্য এই নাটক করেছে ।
কিন্তু ওই কিশোরী এখনো মিথ্যা কথা বলছে কিনা তা নিয়ে ধন্দ্বে আছে রাজস্থান পুলিশ । কারন এর আগে একটি বৈদ্যুতিক চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে ওই কিশোরী জানিয়েছিল যে ইরফান খান নামে এক পাকিস্তানি যুবক আসলাম লাহরী(Aslam Lahri) নামে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল ইনস্ট্রাগ্রামে । সেখানেই ইরফানের সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্ট্রাগ্রামে তার সঙ্গে কথা হত । এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের একজন মুসলিম বান্ধবী তার স্কুলে পড়াশোনা করে । ওই বান্ধবী ইরফানের কাছে যাওয়ার জন্য তাকে উদ্বুদ্ধ করত । এমনকি তার বান্ধবী তাকে একজন বাবার কাছে নিয়ে গিয়ে যায় । ওই বাবার তার উপর জাদু করে । বান্ধবী তাকে নামাজ পড়ানো শিখিয়েছিল । জাদুর প্রভাবে বান্ধবীর সব কথা শুনে চলত সে । জাদুর প্রভাবেই সে পাকিস্তানে পালানোর চেষ্টা করছিল । এজন্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষীদের সে ধন্যবাদ জানায় । কিন্তু মেয়েটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম গল্প ফাঁদায়,তার কোন কথাটা সত্য তা নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে পুলিশ ।।