এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,২৪ জুলাই : মালদার পাকুয়াহাটে দুই আদিবাসী মহিলাকে চুরির অভিযোগে বিবস্ত্র করে জুতোপেটা করার ঘটনার চারদিন পর ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ । জানা গেছে,ধৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা এবং ২ জন পুরুষ । দুই পুরুষের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলাকে নির্যাতনের ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টকারী ব্যক্তিও । রবিবার ধৃতদের মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হলে সকলকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় ।
এদিকে মানিকচকের বাসিন্দা নির্যাতিত দুই মহিলাকেও পুলিশ রেহাই দেয়নি । বামুনগোলার নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ির ভাঙচুরের অভিযোগ দুই মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে । ধৃত মহিলাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে । পয়লা আগস্ট সেই মামলার শুনানি হবে । এদিকে দুই মহিলার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের ধারায় মামলা দায়ের নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । বিজেপির অভিযোগ মিথ্যা মামলার ফাঁসানো হয়েছে হতদরিদ্র পরিবারের দুই মহিলাকে । বিজেপি সাংসদ খগেন মূর্মুর অভিযোগ,’পুলিশের মদতেই ওই দুই মহিলার উপর এই ধরণের ঘৃণ্য আচরণ করা হয়েছে । উলটে ওই দুই নির্যাতিতা মহিলার উপরে মিথ্যা মামলা রজু করেছে পুলিশ ।’
জানা গেছে,গত মঙ্গলবার পাকুয়াহাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়ে দুই আদিবাসী মহিলা বর্বরোচিত অত্যাচারের শিকার হন । তার ঠিক আগের দিন,অর্থাৎ গত সোমবার বামনগোলা থানার অন্তর্গত নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে । বলা হচ্ছে যে নালাগোলা ফাঁড়ি থেকে নির্যাতিতাদের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার । ফলে এনিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন । প্রথমত, এতটা পথ পেরিয়ে তাঁরা কেন থানা ভাঙচুর করতে যাবেন ? দ্বিতীয়, কেন গ্রেফতার করা হল দুই মহিলাকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল করা ব্যক্তিকে ? তাহলে কি পুলিশ নিজেদের গাফেলতি ঢাকতেই ওই দুই মহিলাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে ? এই বিষয়ে মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, কোনো পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে গাফেলতির অভিযোগের প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।।