দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৪ জুলাই : প্রাথমিক শিক্ষকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়লেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা সরকার । আজ সোমবার কলকাতায় সিবিআইয়ের সদর দপ্তর নিজাম প্যালেসে তদন্তকারী দলের মুখোমুখি হন কবিতাদেবী । তাঁকে জেরার মাঝেই জরুরি তলব করা হয় ওই স্কুলের করনিক তথা কাটোয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর বিজন কুমার সাহাকে । সিবিআই তাকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দেখা করার জন্য সময় দিয়েছে । সিবিআইয়ের ফোন ও নোটিশ পেয়েই এদিন বিকেলে তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন ।
জানা গেছে,জানান ২০২১ সালে ফ্রেবুয়ারি মাসে কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল মেলে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকার পদে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছিল । ওই নিয়োগপত্রটি ছিল জয়রামবাটির বাসিন্দা মৌমিতা চক্রবর্তী নামে জনৈক এক মহিলার । কিন্তু তারপর তিনি স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন বিজন কুমার সাহা ।
জানা গেছে,ওই বিষয়ে জানতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সপ্তাহদুয়েক আগে নোটিশ করে কিছু নথি পাঠাতে বলে সিবিআই । স্কুলের পক্ষ থেকে ক্যুরিয়রের মাধ্যমে নথি পাঠিয়েও দেওয়া হয় । ওই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর প্রধান শিক্ষিকা কবিতা সরকারকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয় । এদিন কবিতাদেবী হাজিরা দেন । জেরার সময় প্রধানশিক্ষিকা স্কুলের করনিক বিজন কুমার সাহার নাম নিয়েছিলেন । তিনি তদন্তকারী দলের কাছে জানান,স্কুলের যাবতীয় অফিসিয়াল বিষয় বিজনবাবু দেখাশোনা করেন । তাই তিনিই জনৈক মৌমিতা চক্রবর্তীর নিয়োগপত্রের বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারবেন । এরপর কবিতাদেবীর সামনেই সিবিআইয়ের এক আধিকারিক বিজনবাবুকে ফোন করে সিবিআই দফতরে দেখা করার জন্য বলেন ।
কবিতাদেবী এদিন প্রায় একঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । বিকেল নাগাদ তাঁকে ছাড়া হয় । নিজাম প্যালেস থেকে বেড়িয়ে এসে তিনি বলেন,’২০২১ সালে ফ্রেবুয়ারি মাসে স্কুলের স্কুলে মেলে যে নিয়োগপত্র এসেছিল, মূলত সেই বিষয়েই আমাকে জানতে চাওয়া হয় । ওই চাকরিপ্রার্থী কেন যোগ দেননি,সেই বিষয়ে আমায় জানতে চাওয়া হলে আমি জানাই যে নিয়োগের মেল এলেও তখন কেউ কাজে যোগ দেওয়ার জন্য স্কুলে আসেননি । তারপর বিগত ২ বছরে কেউ স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগও করেননি ।’।