এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ জুলাই : শুক্রবার কলকাতার ধর্মতলায় শহীদ দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস । অনুষ্ঠান শেষ লগ্নে জনৈক এক গায়ক গান শোনান । গানের ছন্দে প্রথম দিকে তিনি আযান পাঠ করেন । পরের দিলে আযানের সঙ্গে জুড়ে দেন শ্রীচণ্ডীকার স্তোত্র । যা ঘিরে জলঘোলা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে । বিষয়টি সেকুলারিজমের নামে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সুড়সুড়ি’ দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
আজ রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে দুটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু । তার মধ্যে একটি ছিল নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের । অন্যটি তৃণমূলের শহীদ দিবস পালনের সমাপনি অনুষ্ঠান । তৃণমূলের ২১-শের মঞ্চে অনুষ্ঠানের শেষে জনৈক গায়ককে প্রথমে আযান পাঠ করতে শোনা যায় । গানের শেষের দিকে তিনি চণ্ডীপাঠ করেন ।
ওই দুই ভিডিও শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’আঞ্চলিক দল তৃণমূলের নেতৃত্ব নিজেদের কি ভাবেন? মহন্ত না মৌলবী?
চণ্ডীপাঠ এর স্তোত্রকে বিকৃত করার দুঃসাহস তারা দেখান কি করে? ইসলাম ধর্মের নামাজের সাথে দেবী দূর্গার স্তোত্র কে মিশিয়ে বিকৃত করার অধিকার তাদের কে দিল?এই দুঃসাহস কি হিন্দু বা মুসলিম ভাবাবেগে আঘাত নয়? হিন্দু বা মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা কি এই অনধিকার প্রয়াস মেনে নেবেন?
নিজেদের সেকুলার প্রমান করার জন্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনে বিকৃত ধর্মীয় মন্ত্রচ্চারণের প্রয়োজন হয় না, এটাই প্রমাণ হয় যে আপনারা ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিতে দিতে সমস্ত সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছেন।’
তিনি আরও লিখেছেন,’সর্বধৰ্ম সমন্বয় এবং সব ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন কি ভাবে করা যায় তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হলো নতুন সংসদ ভবনের শুভ উদ্বোধনের সময় অনুষ্ঠিত ‘সর্বধৰ্ম প্রার্থনা’ অনুষ্ঠান, যেখানে ১২ জন ধর্মগুরু বিভিন্ন ভাষায় তাদের নিজেদের ধর্মীয় আচার মেনে আলাদা আলাদা ভাবেই প্রার্থনা বা মন্ত্রোচ্চারণ করেছিলেন। তখন শ্রীমদ্ভগবদগীতার শ্লোক যেমন পাঠ করা হয়েছিল ঠিক তেমন ভাবেই কোরআনের সূরা ও পাঠ করা হয়েছিল, কোনো রকম বিকৃতি ছাড়াই।।