এইদিন ওয়েবডেস্ক,গ্রেটার নয়ডা,২২ জুলাই : চার সন্তানকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার রাবুপুরার বাসিন্দা প্রেমিক শচীন মীনার কাছে আসা পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দারকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াড(এটিএস) । অবৈধ পথে ভারতে ঢোকা ওই মহিলার পরিনতি কি হবে তা এখনো অস্পষ্ট । মহিলাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে জোর জল্পনা চলছে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলিতে । এমত অবস্থায় ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আবেদন জানিয়েছেন সীমা হায়দার । তিনি ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ভারতের জেলে বাকি জীবন কাটাবেন, তবুও পাকিস্তানে ফিরে যাবেন না ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,সীমা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ৩৮ পৃষ্ঠার ক্ষমার আবেদন পাঠিয়েছেন। এতে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে ভারতে বসবাসের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। আবেদনে শচীনকে তার স্বামী বলে বর্ণনা করে বিয়ের কিছু ছবিও পাঠানো হয়েছে । গত ১৩ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর পশুপতি নাথ মন্দিরে শচীনকে তিনি বিয়ে করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন ।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকের কাছেও নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আর্তি জানিয়েছেন সীমা । ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সীমা হায়দার বলেছেন,’প্রথম থেকেই ইউপি এটিএস আমাকে সন্দেহের চোখে দেখছে । কিন্তু আমি গুপ্তচর নই । শিগগিরই পুরো সত্য বেরিয়ে আসবে। আমি মোদীজি এবং যোগোজিকে অনুরোধ করছি আমাকে যেন ফেরত না পাঠানো হয় । একান্ত নিরুপায় হয়েই আমি অবৈধভাবে ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছি । আমার শৈশব থেকে শুরু করে এযাবৎ নিজের সম্পর্কিত কোন তথ্য আমি গোপন করিনি ।’ তিনি আরও বলেন,’গত এক বছর থেকে আমি হিন্দুদের মত জীবনযাপন করছি । আমি সিঁথিতে সিঁদূর পরি । হিন্দু হয়ে আমি পাকিস্তানে থাকতে পারব না । সেখানে গেলেই আমি খুন হয়ে যাবো ।’।