এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইম্ফল,২০ জুলাই : মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা । দোষীদের শাস্তির দাবি উঠছে । বলা হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ মে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরে কাংপোকপি জেলার একটা গ্রামে । কুকি সংগঠন আইএলটিএফ বলেছে যে নির্যাতিত মহিলারা উভয়ই কুকি সম্প্রদায়ের । দুই মহিলাকে পাশের একটি খামারে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে তাদের অভিযোগ ।
প্রসঙ্গত,মনিপুরে মেইতেই সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা প্রায় ৫৩ শতাংশ । তাদের বেশিরভাগ ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে। উপজাতীয় নাগা এবং কুকিরা মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ । মণিপুরে বিক্ষোভ ও হিংসা শুরু হয় মেইতেই সম্প্রদায়কে নিয়ে। সম্প্রদায়টি দাবি করেছিল যে তাদের ভারতীয় সংবিধানের অধীনে তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদা দেওয়া হোক। এটি তাদের কলেজে ভর্তির অধিকার এবং চাকরিতে সংরক্ষণের অধিকার দেবে । তারা উপজাতি সম্প্রদায়ের মর্যাদার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে । মণিপুর হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে মেইতি সম্প্রদায়ের দাবি বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে ৪ মাসের মধ্যে পরামর্শ পাঠাতে বলেছিল হাইকোর্ট । আর আদালতের এই আদেশের পর আদিবাসী ও অ-উপজাতিদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয় ।
অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিদ্যার্থী সংঘ চলতি বছরের ৩ মে ইম্ফল ও চুরাচাঁদপুর এলাকায় আদিবাসী ঐক্য মিছিল ডেকেছিল । অ-উপজাতীয় মেইতি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিতে (এসটি) অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ করছিল । তখনই উপজাতি ও অ-উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে এযাবৎ ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে । প্রায় ৩৭,৪৫০ জন ২৭২টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে । উভয় সম্প্রদায়ই মনে করে যে মণিপুরের স্পষ্ট বিভাজন হলে একমাত্র তখনই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে । দু’পক্ষই আলাদা রাজ্যের দাবি করছে ।।

