দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৯ জুলাই : এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার নৈহাটি গ্রামে । মৃতা বধূর নাম সুপ্রভা মজুমদার (২০) । মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ,সুপ্রভাদেবীকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । এই ঘটনায় মৃতার স্বামী জয়ন্ত মজুমদার ও শাশুড়ীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ । যদিও বুধবার বিকেল পর্যন্ত এনিয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে ।
জানা গেছে,কেতুগ্রাম-২ ব্লকের সীতাহাটি পঞ্চায়েতের এনায়েতপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মৌলিকের মেয়ে সুপ্রভা । বছর ছয়েক আগে পাশের নৈহাটি গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চন্দ্রশেখর মজুমদারের ছেলে জয়ন্ত মজুমদারের সঙ্গে সুপ্রভার প্রেম বিবাহ হয় । তাঁদের পাঁচ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে ।
মৃতার মা সুপ্রিয়া মৌলিকের অভিযোগ,’কয়েক বছর ধরেই আমার মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছিল স্বামী, শাশুড়ী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন৷’ মৃতার মাসি মীরা সরকারের অভিযোগ, ‘সুপ্রভাকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে অত্যাচার করা হত । সুপ্রভা সেকথা আমাদের বলে দিত ।’
পরিবার সূত্রে জানা গেছে,সুপ্রভা মজুমদারকে এদিন সন্ধ্যে নাগাদ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে তাঁর স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন । কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এরপর এনায়েতপুর গ্রামে ফোন করে ‘কিছু একটা সমস্যা’র কথা জানানো হয় । খবর পেতেই তাঁরা কাটোয়া হাসপাতালে এলে সুপ্রভার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন । সুপ্রিয়া মৌলিক বলেন,’আমাদের সন্দেহ মেয়েকে গলায় দড়ি দিয়ে টাঙিয়ে দিয়েছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন । আমরা এনিয়ে কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব ।’।

