এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৯ জুলাই : মধ্যপ্রদেশের এক সাংবাদিকের আগাম জামিনের বিষয়ে আজ বুধবার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে । এদিনের শুনানির সময় একটি বড় মন্তব্য করেছে সর্বোচ্চ আদালত । বিচারপতি এএস বোপান্না এবং এমএম সুন্দরেশের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে যে সাংবাদিক বা রিপোর্টার হওয়ার মানে এই নয় যে আপনার কাছে আইন হাতে নেওয়ার লাইসেন্স আছে । উল্লেখ্য,মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এক সাংবাদিককে আগাম জামিন দিতে অস্বীকার করেছিল । এর বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । তবে তার আবেদন খারিজ করে আদালত বলেছে, ‘আবেদনকারী আর অন্তর্বর্তী সুরক্ষার অধিকারী নন । আবেদনকারী অন্যান্য মামলার সাথেও জড়িত।এছাড়া রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলির মতে, আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত এমন পরিস্থিতিতে আছে যে আবেদনকারীকে হেফাজতে নেওয়া দরকার কিনা তা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বিবেচনা করতে হবে ।’
প্রসঙ্গত,অভিযুক্ত সাংবাদিক নবজাতক শিশুদের বেআইনিভাবে বিক্রি ও কেনার সঙ্গে জড়িত একটি র্যাকেট ফাঁস করার চেষ্টা করছিলেন । ওই সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর প্রতিবেদনটি ২০২১ সালের ২৬ জুলাই প্রকাশিত হয় । ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরে একজন গ্রেফতারও হয় । কিন্তু নিজেকে ‘সার্টিফায়েড রিপোর্টার’ হিসাবে দাবি করা ওই প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে পরবর্তী কালে খবরটি চাপা দিতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠে । এনিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা রজু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সেই আবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সাংবাদিকের আগাম জামিন খারিজ করে দেয় মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট । কিন্তু তিনি তখন সুপ্রিম কোর্ট থেকে অন্তবর্তী জামিন পেয়ে যান ।
এদিন ওই মামলার শুনানির সময় আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন,’অভিযোগ অনুসারে ৫০ লাখ টাকা ঘুঁষ দাবি করা হয়েছিল । কিন্তু প্রদত্ত পরিমাণ ছিল মাত্র ৫০,০০০ টাকা। এটি এফআইআর-এ অভিযোগকারীর একটি অবিশ্বাস্য বক্তব্য ।’ এই বিষয়ে বিচারপতি বোপান্না বলেন,’আজকাল বিশ্বাসযোগ্য বা অবিশ্বাস্য বলে কিছু নেই ।’ মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে সাংবাদিকের আবেদনের বিরোধিতা করে রিটকারী বলেছিলেন,’তারা সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করার র্যাকেট চালাচ্ছেন ।’।

