এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,১৭ জুলাই : গত ২৩ জুন বিহারের রাজধানী পাটনায় মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার আয়োজিত বিরোধী দলের প্রথম বৈঠকে বিভিন্ন বিরোধী দলের প্রায় ২০ জন নেতা অংশগ্রহণ করেছিলেন । পরবর্তী কৌশল তৈরি করতে সিমলায় বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, অবশেষে সিমলায় বৈঠক বাতিল করে বেঙ্গালুরুতে এই বৈঠক আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । আজ সোমবার বেঙ্গালুরুর একটি নামীদামী হোটেলে হচ্ছে সেই বৈঠক । ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী দিল্লির ১০ জনপথের বাসভবন থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন । মা ও ছেলে দু’জনেও বেঙ্গালুরুতে দুদিনের যৌথ বিরোধী বৈঠকে অংশ নেবেন । বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা আছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির । তবে কর্ণাটকের আঞ্চলিক দল জেডিএস এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না বলে খবর ।
জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী নিজেই আজ এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের আজ বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, আগামীকাল এনডিএ জোটের বৈঠকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, দেখা যাক এরপর কী হয়, আমরা এসব কিছু নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না ।’ তিনি আরও বলেন, ‘মহাগটবন্ধন আমাদের দলকে বিবেচনার মধ্যে আনেনি। মহাগটবন্ধনের ম্যানেজাররা এই মায়ায় আছেন যে জেডিএস ধ্বংস হয়ে গেছে। তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না সেদিকে তাদের কোনো খেয়াল নেই।’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী আফশোস করে বলেছেন যে আমাদের কোথাও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ।আমাদের দলের সংগঠন কীভাবে করা উচিত, কীভাবে দেশের মানুষের সমস্যা সমাধান করা যায় তা নিয়ে আমরা ভাবছি এবং সক্রিয় হব।’
তাঁর অভিযোগ,’আমি মিডিয়া মারফত থেকে জানতে পেরেছি যে ইতিমধ্যে ৪২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে। সরকার এ নিয়ে চিন্তিত নয়, এদিকে মহাগটবন্ধনের পক্ষ থেকে সড়ক যুদ্ধের জন্য বিশাল কাটআউট ও ব্যানার লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এমন কীর্তি তারা দেখিয়েছে, যা কেউ করতে পারেনি ।’ কুমারস্বামীর প্রশ্ন, ‘এতে সাধারণ মানুষের কোনো লাভ হয়েছে কি ?’