এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাগদাদ,১৭ জুলাই : মুসলিম রাষ্ট্র ইরাকে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ভাঙা হল প্রাচীন মসজিদ । শুক্রবার ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় বসরা শহরের প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন ওই মসজিদটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় । জানা যায়,১৭২৭ সালে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল । লাল মাটির ইট দিয়ে তৈরি মসজিদটিতে ১১ মিটার বা ৩৬ ফুট উঁচু একটি মিনার ছিল । ওই মসজিদটির জন্য সংলগ্ন সড়কটি বেশ সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল । যেকারনে যানজট লেগেই থাকতো । তাই সড়ক পথটি সম্প্রসারণ করতে মসজিদটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই স্থানীয় প্রশাসন ।
প্রসঙ্গত,বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর একটি মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ইরাকে । যেকারণে প্রাচীন ঐতিহ্য ও নিদর্শনে ইরাক বেশ সমৃদ্ধ । তবে ইরাকি রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হুসেনের পতনের পর ইসলামি স্টেটের(আই এস আই এস) উত্থান হতেই কোপ পড়ে ওই সমস্ত প্রাচীন নিদর্শন গুলির উপর । একের পর এক ঐতিহ্যবাহী নির্দশনগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসবাদীরা । এবার বসরা শহরের প্রাচীন মসজিদটি ভেঙে ফেলায় চরম ক্ষুব্ধ স্থানীয় মৌলবাদীরা । বসরার বাসিন্দা মাজেদ আল হুসেইনি নামে এক মৌলবী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন,’সবাই তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে চায়। আর এখানে আমাদের ইতিহাস ও প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে ।’
ইরাকের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ আর-বাদরানি বলেন, মসজিদটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে তাঁদের আপত্তি ছিল। কিন্তু বসরার গভর্নর ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সড়ক সম্প্রসারণের জন্য মসজিদটি অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। এখন ইরাকের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বসরার প্রাচীন এই মসজিদের আদলে আরেকটি মসজিদ বানাতে চায় ।’ তিনি আরও বলেন,’বারবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও মসজিদটি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয়নি । তাই সড়ক সম্প্রসারণের কাজে সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় এটি ভেঙে ফেলা হয়েছে ।’ প্রতিবাদ না করে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ।।