দিব্যেন্দু রায়,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),১০ জুলাই : পঞ্চায়েত ভোটের দিন আদিবাসী যুবককে মারধরের প্রতিবাদে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে আজ সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালো আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাজি পরগণা মহল । বিক্ষোভকারীরা লাঠিসোঁটা, টাঙ্গি, তিরধনুক প্রভৃতি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দীর্ঘক্ষণ গুসকরা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে রাখে । পরে ফাঁড়ির ইনচার্জ নিতু সিং-এর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয় ।
ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন আউশগ্রাম-১ ব্লকের দিগনগর-২ পঞ্চায়েতের লক্ষীগঞ্জ গ্রামে । ভোট চলাকালীন গ্রামের ৫৯/১৭৪ নম্বর বুথে ঢুকে শাসকদল আশ্রিত বেশ কিছু দুস্কৃতী ছাপ্পা দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ । স্থানীয়রা প্রতিরোধ করলে দুস্কৃতীরা পালিয়ে যায় । তারা পালানোর সময় মাতাল মুর্মু নামে এক আদিবাসী যুবককে ব্যপক মারধর করে । স্থানীয় তৃণমূল কর্মী অনিমেষ মাহাতো, রমাকান্ত মাহাতো ও পরশুরাম মাহাতোর নেতৃত্বে প্রায় ১৭ – ১৮ জন দুস্কৃতী মিলে তাকে রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি মাথায় টাঙ্গি দিয়ে কোপ মারে বলে অভিযোগ জখম যুবকের স্ত্রী দেবী মুর্মুর ।
বর্তমানে মাতাল মুর্মু নামে জখম যুবক বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । তার অবস্থা গুরুতর । ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের কার্যকর্তা মঙ্গল বাস্কের দাবি,’জখম যুবকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক । পাশাপাশি হামলার ঘটনার সাথে যুক্ত সমস্ত দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক ।’
পুলিশ জানিয়েছে,ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । জানা গেছে,ধৃতদের মধ্যে রয়েছে লক্ষীগঞ্জ গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি পরশুরাম মাহাতো ছাড়াও দুই তৃণমূল কর্মী । যদিও ঘটনার দিনে পুলিশের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা ।।