এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেলগাঁও(কর্ণাটক),০৯ জুলাই : কর্নাটকের বেলগাঁও জেলার এক জৈন সন্ন্যাসীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা ঘটেছে । ওই সন্ন্যাসীকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে গভীর নলকূপে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা । নিহত জৈনমুনির নাম কামকুমারানন্দি মহারাজ । গত কয়েকদিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন । শনিবার বেলগাঁও জেলার রায়বাগ তালুকের খটকবাভি গ্রামের মাঠে সাবমার্সিবল পাম্পের কূপ থেকে তাঁর দেহাংশগুলি উদ্ধার হয় । প্রায় ৪০০ ফুট গভীর টিউবওয়েলের ২৫ ফুট গভীরে একটি রক্তাক্ত শাড়ি ও তোয়ালে পাওয়া গেছে । ৩০ ফুট গভীরে মাথার ২টি অংশ, হাত, পা, উরু ও পেটসহ ৯ টি অংশ পাওয়া যায় । দেহাংশগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ । শনিবার সকাল থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টা লাগাতার অভিযান চালিয়ে সন্ন্যাসীর দেহাংশগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার ডাঃ সঞ্জীব পাতিল জানিয়েছেন,জৈন মুনিশ্রী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে । প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে অভিযুক্তরা চিক্কোডি তালুকের হিরেকোডি গ্রামের নন্দীপর্বত আশ্রমে মুনিশ্রীকে হত্যা করে, মৃতদেহটি খটকবাভি গ্রামে নিয়ে আসে । তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে নলকূপের মধ্যে ফেলে দেয় । প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, ঋণ পরিশোধ করতে বলায় অভিযুক্তরা ওই জৈন সন্ন্যাসীকে হত্যা করেছে।
এদিকে জৈন মুনীর হত্যার প্রতিবাদে চিক্কোডিতে জৈন সম্প্রদায়ের নেতারা একটি সভা করেছে এবং হত্যার নিন্দা জানাতে সোমবার নীরব প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অভয় পাতিল ও অন্যান্যরা। নন্দীপর্বত আশ্রম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন,সোমবার হিরেকোডি আশ্রমে কামকুমারানন্দি মহারাজের শেষকৃত্য করা হবে ।।