প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৮ জুলাই : পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ডাঙ্গা ফরিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫২ নম্বর বুথে সকাল থেকে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে । সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন মোঃ খান নামে এক সাংবাদিক । অভিযোগ,যে স্মার্টফোনে তিনি ছাপ্পা দেওয়ার দৃশ্য ভিডিও রেকর্ড করছিলেন সেটি তৃণমূলের লোকজন কেড়ে নেয় এবং ৩০-৪০ জন মিলে ঘিরে ধরে তাকে ব্যাপক মারধর করে । জামালপুর থানার পুলিশ তাঁকে ও তাঁর স্মার্টফোনটি উদ্ধার করে । পরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় ওই সাংবাদিকদের । প্রিজাইডিং অফিসার অরবিন্দ ধারা বলেন,’আমি নিরুপায় । ছাপ্পা আটকাতে গিয়ে আমি খুন হতে পারিনা । পুলিশকে তো দেখছেন ।’ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অরবিন্দবাবু ।
স্থানীয় সূত্রে খবর,এদিন সকালে স্থানীয় কানঘোষা গ্রামের বাসিন্দারা ভোট দিতে গিয়ে দেখেন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেদার ছাপ্পা দিচ্ছে তৃণমূলের লোকজন । তৃণমূলের লোকজন জানায়,’ভোট পড়ে গেছে’ । একথা শুনে ক্ষিপ্ত ভোটাররা গ্রামে ফিরে এসে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ফ্ল্যাগ ফেস্টুন ও পতাকায় আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় ।
জামালপুরের পাশাপাশি খণ্ডঘোষ থানার বেরুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সুলতানপুর ৯৫ নম্বর বুথে অর্ধেক ভোট হওয়ার পর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ভাঙচুর ও ব্যালট পেপার ছিঁড়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । এমনকি সিপিএমের এজেন্টদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ । এদিন দুপুর নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের রায়নার মাঠনূরপুর গ্রামে বহিরাগতদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । আহত হয়েছে চারজন গ্রামবাসী। আহতদের মধ্যে শেখ আজাদ এবং শেখ গফফার আলি নামে দু’জন গ্রামবাসীর অবস্থা গুরুতর ।
বহিরাগত সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা দেদার বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় ।।