এইদিন ওয়েবডেস্ক,কক্সবাজার,০৭ জুলাই : বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরের দুই দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে । এই ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর । আজ শুক্রবার সকাল ৬ টা নাগাদ গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট, ব্লক-বি-১৭-১৮ সংলগ্ন এলাকায় । গুলিবিদ্ধ হয়ে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী ।
জানা গেছে,এদিন সকালে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর মধ্যে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়ে যায় । মুহুর্মুহু গুলি বোমা বর্ষণে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা । ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএন-এর আধিকারিক আমির জাফরের কাছ থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় উখিয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী । এদিকে পুলিশকে দেখে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীদল । আমির জাফর বলেন,ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে । বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে,তাদের ক্যাম্পের এনজিও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুজনের মৃত্যু হয় । এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ৮ এপিবিএন’র অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি ।
প্রসঙ্গত,মিয়ানমারে ২০১৭ সালে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) নামে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বার্মিজ নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালিয়ে বহু সেনাকে হত্যা করে । বার্মিক সেনার পাশাপাশি মিয়ানমারের বহু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের প্রাণ নিয়েছিল ওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটি । এরপর বার্মিজ নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসী “ক্লিয়ারেন্স অপারেশন” শুরু করলে রোহিঙ্গারা দেশত্যাগ করতে শুরু করে ।
২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে । বাংলাদেশের সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী,তখন সেই সংখ্যাটি ছিল প্রায় ১০ লাখ । রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিভিন্ন এলাকায় শিবির করে থাকার ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ সরকার । কিন্তু ১০ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে প্রতি বছর ৩০-৪০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্মের কারনে বিপুল পরিমান জনসংখ্যার খাবার জোটাতে হিমসিম খাচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার । শুধু সরকারের বিপুল ব্যয়ই নয়,বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাজে লাগানোয় বাংলাদেশ সহ উপ মহাদেশের অনান্য দেশগুলির কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ।।