জন্মেই যে মাকে খেয়েছে
বাপ হয়েছে পর
লড়তে কি পারবে মেয়ে
পায়নি কারো আদর।
ঘৃণা নিয়ে বাড়তে থাকে
চাইলেও জীবন হয়না শেষ
দুখী মেয়ের জীবনে কখনো
কাটবে না দুঃখের রেশ।
না আছে কোনো দিবস
না আছে আদর মাখা পরশ
কি দোষে দোষী মেয়ে ?
কোথায় গেল তার হরশ?
মিথ্যে হলো জন্ম মেয়ের
তবুও মৃত্যু ছোঁয়না তাকে
অপবাদ ,অনাদর, অবহেলায়
নরক জীবন দাঁড়িয়ে,কোন পাঁকে।
বড় হয়েও যাবে কোথায় ?
রাক্ষসদের হবে আহার
সমাজ বলে কিছু নেই তার
এই দোষ ,বলো তো কার ??
বাঁচবে কেমন করে নিজের মতো
মরতেও পারবে না মেয়ে
জন্মটাই তার বৃথা হলো
বাঁচতে হবে ঝাঁটা লাথি খেয়ে ।
বিধাতা ঠাকুর বড়ই কঠিন
লিখতে গিয়েও লেখেনি লেখা
এমন বিচার আদালতের
কখনো পাবে না আর মায়ের দেখা।
নিষ্ঠুর লিখনে হতাশা কুড়ায়
চারিদিকে অন্ধকারেই, যে তার সুখ
অনাথ নামের তকমা লাগায়
আপন করে, বুকে টেনে নেয় দুখ।
বিশাল এই আলোর পৃথিবীটা
তার কাছে এক নগ্ন চিত্র
সমাজে ও সবাই মুখ ফেরায়
মানুষ গুলোর ও চরিত্র বিচিত্র।
ইতরামি আর নোংরামীতে
ঢেকে রাখে নিজেকে মেয়ে
এই জীবন বাঁচাবে কে ?
সুযোগ পেলে সব আসবে ধেয়ে।
মন্দির মাঝে দাঁড়িয়ে একা
প্রাণের বিসর্জন চাইল এবার
বললো মা’কে কান্না চোখে
সময় এসেছে এবার তোর কাছে যাবার।