এইদিন ওয়েবডেস্ক,প্যারিস,০১ জুলাই : ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কারনে মঙ্গলবার সকালে প্যারিসের শহরতলির নান্তেরে(Nanterre) আলজেরিয়ান এবং মরক্কোর বংশোদ্ভূত এক কিশোরকে গুলি করে মারে ফ্রান্সের ট্রাফিক পুলিশ । বছর সতেরোর ওই কিশোরের নাম নাহেল এম(Nahel M) । ওই কিশোর পোল্যান্ডের (Polland) নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়ি চালাচ্ছিল । পুলিশ তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও সে গাড়ি থামাতে রাজি হয়নি । তার সন্দেহজনক গতিবিধির কারনে সম্ভাব্য হুমকির আশঙ্কায় পুলিশ তাকে গুলি করে । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরের ।
সেই ঘটনার জেরে কার্যত ফ্রান্স জুড়ে হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে । শনিবার পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল । ‘জাস্টিস ফর নাহেল এন’ দিয়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভে মুসলিমরা শ্লোগান দিচ্ছে,’আল্লাহ আকবর, আমরা মুসলমান, পুলিশ আমাদের হত্যা করলে আমাদের হত্যা করার অধিকার কোরানে লেখা আছে ! আমরা আপনাদের ২০০৫ সালের চেয়ে খারাপ করতে যাচ্ছি, আমরা থামব না !’
জানা গেছে,মুসলিম অভিবাসীরা ফ্রান্সের মার্সেই (Marseille)শহরের বৃহত্তম পাবলিক লাইব্রেরি পুড়িয়ে দিয়েছে । মার্সেই প্যারিসের পরে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর । প্যারিস ও মার্সেই শহরের রাস্তায় অসংখ্য গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি চলছে ‘আল্লাহ হু আকবর’ শ্লোগান দিয়ে দোকান, গাড়ি, পাবলিক সম্পত্তি লুটপাট । ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন (Emmanual Macron) যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিলেও বিক্ষোভ এখনও চলছে । ফ্রান্সের কেউ কেউ এই হিংসাত্মক বিক্ষোভকে ন্যায্যতা দিচ্ছেন এবং বলছেন এটা দীর্ঘস্থায়ী বর্ণবাদের বিরুদ্ধে রোষের বহিঃপ্রকাশ । কেউ কেউ বলছেন যে মুসলিমদের শুধুমাত্র হিংসা করার জন্য একটি অজুহাত প্রয়োজন । গত বছর ফ্রান্সে একই রকম হিংসা হয়েছিল যখন ফ্রান্স মুসলিম দেশ মরক্কোকে বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচে হারিয়েছিল ।
প্রসঙ্গত,ফ্রান্সের ৯ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ৷ এটি ইউরোপে সবচেয়ে বেশি এবং তাদের বেশিরভাগই আফ্রিকান অভিবাসী যাদের ফ্রান্স আশ্রয় দিয়েছে । কিছু এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠীও রয়েছে । ফ্রান্সে মুসলিম জনগোষ্ঠীর তরফ থেকে সৃষ্টি হওয়া হিংসার পর এখন ইমানুয়েল ম্যাক্রনকে দুষছেন ফ্রান্সের বাসিন্দারা ।
অ্যাময় মেক নামে এক ইউজার্স টুইট করেছেন,’২৫ বছর বয়সী ফরাসি তরুনী মাথিল্ডা ইসলামাইজড ফ্রান্সে তার জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন…
যখন থেকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়াল ম্যাক্রোঁ আফ্রিকা, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে হাজার হাজার পুরুষ ইসলামিক অভিবাসীদের দেশে আসার অনুমতি দিয়েছেন ফ্রান্সে যৌন সহিংসতা আকাশচুম্বী হয়েছে । অভিবাসন বিরোধী মনোভাব এড়াতে এবং তাদের গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা অপরাধগুলি লঘু করা হচ্ছে । মুহাম্মদ যুদ্ধে নারীদের বন্দী করেছিলেন এবং তাদের সাথে ব্যবসায়িক পণ্য হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। “অপরিবর্তনীয়, চির-প্রাসঙ্গিক” কোরানে স্পষ্টভাবে নারীদের যৌনদাসী হিসেবে রাখার অনুমতি দেয়। ফরাসি নেতারা কি এটাই ঘটানোর আশা করেছেন ?’