এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,৩০ জুন : একদিকে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের আরও প্রায় এক কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিললো । সেই সম্পত্তির একটি সিজার লিস্ট আজ শুক্রবার আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জমা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । অন্যদিকে তখন প্রায় ১০ মাস ধরে জেলবন্দি অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ ‘যে কোনও শর্তে’ অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দেওয়ার জন্য আবেদন জানান আজ । যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী । পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৪ জুলাই ।
সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গল হোসেনের এক কোটি টাকার সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ৭ টি জমি । তার মধ্যে একটি বীরভূমের সিউড়িতে, বাকি ৬টি রয়েছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে । এই জমিগুলি সায়গলের স্ত্রী সোমাইয়া খন্দকার এবং মা লতিফা খাতুনের নামে আছে । যার মোট মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে সিজার লিস্টে । পাশাপাশি সায়গলের স্ত্রী সোমাইয়ার তিনটি অ্যাকাউন্টে মোট প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই । এছাড়া সায়গল হোসেনর বেনামে ডোমকলে একটি ইঁটভাটা, সিঙ্গুরে পাথর খাদান, ইলামবাজারে একটি পেট্রোল পাম্পও রয়েছে বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারী দল ।
অন্যদিকে অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ এদিন আদালতে জানান,তাঁর মক্কেল গত বছর ১১ আগস্ট থেকে জেলবন্দি রয়েছেন । তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জশিট জমা পড়েছে । এখন কবে ট্রায়াল শুরু হবে তা স্পষ্ট নয় । তাই তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক । যদিও বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান,প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে । এখনো কয়েকজন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা প্রয়োজন । তবে খুব দ্রুত ফাইনাল চার্জশিট দেওয়া হবে । সিবিআইয়ের আইনজীবী জয় কিষান আদালতে বলেন,’অনুব্রত মণ্ডল ভীষন প্রভাবশালী ব্যক্তি । তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে,তাই এই পরিস্থিতিতে তাঁকে জামিন দেওয়া হলে স্বাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন ।’ দু’পক্ষের শুনানি শেষে ঘণ্টা দুয়েকের বিরতির পর আদালত তার রায়ে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় । উল্লেখ্য,গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন । অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জশিট জমা প এযাবৎ ২৮৩ জন স্বাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে ।।