সেরা পাণ্ডব; রূপবান, গুনবান অর্জুনের মোহে বিমোহিত হয়ে–
মনে মনে চেয়েছিলে তাকে জীবনসাথী রূপে পেতে..!
স্বয়ংবর সভায় সকল ক্ষত্রিয়কে হারিয়ে;
সঠিক লক্ষ্যভেদ করে তৃতীয় পাণ্ডব যখন জয়ী হলেন–
তুমি কি খুশিই না হয়েছিলে কৃষ্ণা—-
দ্রুপদ কন্যা দ্রৌপদী !
আদরের রাজকন্যার খুশির জোয়ারে ভেসেছিল সেদিন গোটা রাজ্য !
দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলে শ্বশুরবাড়ি!
শাশুড়ি মা না জেনে, না বুঝেই তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেছিলেন….
“যা এনেছো পাঁচ ভাইয়ে ভাগ করে নাও”!
তখন তো তোমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল পাঞ্চালি !
তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্নগুলো নিমেষে কেমন দুঃস্বপ্নের নিকষ অন্ধকার গলিতে নিক্ষেপিত হয়েছিল….
কারণ তুমি জানতে সৈরিন্ধ্রী—-
মাতৃসত্য পালনের জন্য পঞ্চপাণ্ডব তোমাকে সত্যিই ভাগ করে নেবে!
কেন নিয়েছিলে মেনে ?
তুমি তো সামান্যা নও !
যজ্ঞের আগুন থেকে জন্ম তোমার–
সেই মুহূর্তে কেন সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিলে না অগ্নিকন্যা যাজ্ঞসেনী ?
কেন নিয়েছিলে মেনে ??

