এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,২৬ জুন : মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকি(Sabrina Siddiqui) সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভারতে ‘সংখ্যালঘুর অধিকার’ নিয়ে প্রশ্ন করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন । বিশেষ করে ভারতের জাত শত্রু পাকিস্তান ও ভারতে নরেন্দ্র মোদীর বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা সাবরিনার এই প্রশ্নে বেজায় খুশি হয়েছে । এদিকে ভারতের ‘সংখ্যালঘুর অধিকার’ নিয়ে প্রশ্ন করে এখন ট্রোলড হচ্ছেন ওই মার্কিন সাংবাদিক । মুসলিমদের মধ্য থেকেই এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।
আকিব মির নামে এক ইউজার্স টুইট করেছেন, ‘ব্রেকিং । পাকিস্তানি বাবা-মায়ের সন্তান সাবরিনা সিদ্দিকী(Sabrina Siddiqui) একজন ‘সাংবাদিক’, যিনি ভারতের সংখ্যালঘুদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রশ্ন করেছিলেন ।’ এরপর তিনি লেখেন, ‘সাবরিনা সিদ্দিকী পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সাথে কি হচ্ছে ? সাংবাদিকের এজেন্ডা উন্মোচিত ।’
ইন্ডিয়ান দিব্য নামে এক ইউজার্স লিখেছেন, পাকিস্তানি বংশভূত ‘সাবরিনা সিদ্দিকীর জন্ম আমেরিকায় । তিনি দ্বিজাতিতত্ত্বের উদ্ভাবক সৈয়দ আহমেদ খানের প্রপৌত্রী । এখন ভারত বিরোধী চক্রের রানী হয়ে উঠেছেন। সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে বৈশ্বিক মঞ্চে মিস্টার মোদীর কাছে তার প্রশ্ন ছিল ভারত, মোদী এবং আরএসএস-এর মতো সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে স্বীকৃতি লাভ করা ।’
প্রসঙ্গত,সাবরিনা সিদ্দিকীর বাবা-মা পাকিস্তানি । সাবরিনা নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্নাতক এবং তার স্বামীর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন এবং তার মিডিয়া সংস্থার জন্য হোয়াইট হাউস কভার করেন । কিন্তু তার দাদুর বাবা সৈয়দ আহমেদ খানের অতীত ছল বিতর্কিত । ব্রিটিশদের কাছ থেকে ‘স্যার’ উপাধি পাওয়া সৈয়দ আহমেদ খান আদপে একজন ধর্মান্ধ, উগ্র ধর্মগুরু এবং হিন্দু বিদ্বেষী ছিলেন । সৈয়দ আহমেদ খান হিন্দুদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন । ১৮৮৮ সালের ১৪ মার্চ মিরাটে দেওয়া এক ভাষণে সৈয়দ আহমেদ খান বলেছিলেন, ‘আমাদের পাঠান ভাইরা পাহাড়-পর্বত থেকে উঠে আসবে এবং সীমান্ত থেকে বাংলায় রক্তের নদী বয়ে দেবে। বৃটিশরা চলে যাওয়ার পর এখানে কে বিজয়ী হবে, সেটা আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। কিন্তু এদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না যতক্ষণ না এক জাতি অন্য জাতিকে জয় করে আজ্ঞাবহ না করে ।’
সাবরিনা সিদ্দিকীকেও প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত বিরোধী লেখা শেয়ার করতে দেখা যায় । অবশ্য এজন্য ভারতের লিবারেল গ্যাং -এর কাছে তিনি প্রশংসিতও হন ।।

