প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ জুন : প্রেমের টানে কাঁটাতার টপকে অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়েটাও সেরে ফেলেছিল প্রেমিকা। কিন্তু সংসার আর করা হয়ে উঠলো না।ন্যাশানাল অ্যান্টি ট্রাফিকিং কমিটির চেয়ারম্যানের করা অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বর্ধমান থানার পুলিশ প্রেমিক প্রেমিকা দু’জনকেই গ্রেপ্তার করেছে।ধৃত প্রেমিকার নাম নূরতাজ আক্তার মিম। আর প্রেমিক হলেন বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা এলাকার যুবক শেখ সামিম। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার ধৃত প্রেমিক ও প্রেমিকাকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,বছর ১৮ বয়সী প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিম এর বাড়ি বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জ জেলার এনায়েতনগরে।ফেসবুক মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় শহর বর্ধমানের তেঁতুলতলা এলাকা নিবাসী বছর ২২ বয়সী যুবক শেখ সামিমের।বন্ধুত্বের সম্পর্ক পরে প্রেমের সম্পর্কের রুপ পায় ।তারপর থেকেই প্রেমিকের টানে ভারতে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে নূরতাজ । প্রেমিকের কাছে পৌছানোর জন্য কোন বাঁধন না মানার পণ করে বসে নূরতাজ। শেষে মাস তিনেক আগে বাংলাদেশের এনায়েতনগর থেকে বনগাঁর বর্ডার পৌছে যায় অষ্টাদশি নূরতাজ । দালাল ধরে এর পর সে অবৈধ ভাবে বর্ডার পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। অভিযোগ,এই কাজে তাঁকে সাহায্য করে তাঁর প্রেমিক সামিম । বর্ডার টপকেই নূরতাজ তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বর্ধমানের উদ্দশ্যে রওনা হয় ।বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলায় প্রেমিকের বাড়িতেই সে ওঠে । সেখানে মুসলিম শরিয়ত অনুযায়ী তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তেঁতুলতলার শ্বশুর বাড়িতেই সংসার জীবন কাটাচ্ছিল নূরতাজ।কিন্তু আইনের যাঁতাকলে পড়ে যাওয়ায় নূরতাজের আর বেশীদিন সংসার করা হয়ে উঠলো না ।
প্রেমিকের সহযোগীতায় নূরতাজের অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে আসার বিষয়ে ২৪ জুন ন্যাশানাল অ্যান্টি ট্রাফিকিং কমিটির চেয়ারম্যান অভিযোগ দায়ের করে । অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নেমে রবিবার সকালে সেখ সামিমের বর্ধমানের বাড়িতে হানা দেয় ।তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা নূরতাজ আক্তার মিমের কাছে পার্সপোর্ট ও ভিজা-র ডকুমেন্টস চায়।তখন নূরতাজ শুধমাত্র প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ রাস্ট্রের ইস্যু করা একটি জন্ম সার্টিফিকেটের জেরক্স কপি দেখাতে পারে। অন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র সে পুলিশকে দিতে পারে না । এরপরেই বর্ধমান থানার পুলিশ নূরতাজ ও তাঁর প্রেমিক কে গ্রেপ্তার করে । এদিন দু’জনকে বর্ধমান আদালতে পেশ করাহলে বিচারক দু’জনের জামিন নামাঞ্জুর করে জেল হেপাজতে পাঠিয়ে পয়লা জুলাই ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ।।