প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ জুন : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা পেতে চান? নাফিজা বেগমকে জয়ী করুন। এ যেন সোজাসুজি টাকার টোপ!তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নাফিজা বেগমের সমর্থনে এমন দেওয়াল লিখন ঘিরে জোর বিতর্ক শুরে হয়েছে।বিরোধী থেকে শুরু করে গ্রামের রাজনীতি সচেতন মানুষরা বলছেন ,দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে সরাসরি পাঁচশো বা হাজার টাকার টোপ দিয়ে নিজেদের পক্ষে ভোট টানতে চাইছে শাসক দল ।তাদের মতে এমন দেওয়াল লিখন রাজনৈতিক দেউলিয়াপনারই প্রকাশ ।পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন দাখিল পর্ব শেষ হতেই জেলার সর্বত্র জোর কদমে চলছে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে দেওয়াল লিখন ও মিটিং মিছিল। ভাতার ব্লকের আমারুন ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৩ নম্বর আসনে ৭ নম্বর সংসদে তৃণমূল প্রার্থী নাফিজা বেগমের সমর্থনেও দেওয়াল লেখা হয়েছে পলসোনায় । এক আধটা দেওয়াল নয়,গ্রামে পলসোনা গ্রামে অজস্র দেওয়াল লেখা হয়েছে নাফিজা বেগমের সমর্থনে । তার মধ্যে অধিকাংশ দেওয়ালে লেখা আছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে হলে নাফিজা বেগমকে জয়ী করুন। নাফিজা বেগম যদি ভোটে না জয়ী হন তা হলে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডরের টাকা পাওয়া যাবে না ? দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে সরাসরি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে টোপ দিয়ে কি ভোট প্রচার করতে পারেন একজন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভাতারবাসীর মুখে মুখে।
এবিষয়ে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী জাহাঙ্গীর মোল্লা জানিয়েছেন,“বিষয়টি আমার জানা নেই ।দলের কর্মীরা দেওয়াল লিখছে।ভুল কিছু থাকলে সংশোধন করে নেওয়া হবে“।গ্রামবাসী শেখ ইব্রাহিম জানান,“এমনটা লেখা অন্যায়। কেউ এই বিষয়টি সমর্থন করছে না“।অপর গ্রামবাসী শেখ লালন ও শেখ আব্দুল হালিমের বক্তব্য,লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে কি রাজ্য সরকার দেবে , না কি তৃণমূল প্রার্থী দেবে?
জেলার বিজেপি নেতা সুধীরঞ্জন সাউ সব শুনে বলেন,এমন দেওয়াল লিখন আসলে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনারই প্রকাশ। এই ট্রেণ্ড মুখ্যমন্ত্রী শুরু করেছেন। তাই এখন তৃণমূঢ় প্রার্থী এমন দেওয়াল লিখে ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছেন। এই নিয়ে আমরা দরকারে আদালতে যাবো । তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবু টুডু জানান,বাক্যগঠনে না হয় একটু ভুল হয়েছে। তবে সবাই জানেন,প্রার্থীর জেতা বা হারার সঙ্গে সরকারি প্রকল্পের কোনো যোগ নেই।এই প্রার্থী জিতলেও গ্রামের মানুষ লক্ষীর ভাণ্ডার পাবেন।আর না জিতলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন ।।