এইদিন ওয়েবডেস্ক,২৪ জুন : গত রবিবার(১৮ জুন ২০২৩) ওশানগেটের সাবমারসিবল ডুবোজাহাজ টাইটান পাঁচ আরোহী নিয়ে কানাডা উপকূলীয় আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে যায়। এর ঠিক পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে মেলে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ । কীভাবে সাবমেরিন টাইটান ধ্বংস হল তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে । মার্কিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, সমুদ্রের তলদেশে জলের অস্বাভাবিক চাপ নিতে পারেনি ওই ডুবোজাহাজটি । যেকারণে ভয়ঙ্কর অন্তর্মুখী বিস্ফোরণে ডুবোযানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায় । টাইটানের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপর বিস্ফোরণের মতো শব্দও শনাক্ত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী।
বৃহদাকার যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজতেই ডুবোজাহাজ টাইটানে চড়ে সমুদ্রের তলদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন পাঁচ আরোহী । ছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং,পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ,তার ছেলে সুলেমান দাউদ, ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য পল অঁরি নাজোলে এবং ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ । রবিবার ডুবোজাহাজ টাইটানে চেপে সমুদ্রতলদেশে যাত্রা করেন ওই পাঁচ জন । কিন্তু মাত্র দু’ঘন্টার মধ্যেই ঘটে যায় বিস্ফোরণের ঘটনা । এখন প্রশ্ন, টাইটানের ৫ যাত্রীর মৃতদেহ আদপেই কি উদ্ধার করা যাবে ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাইটানের যাত্রীদের মৃতদেহ উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে । যদিও মার্কিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে যে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে ।
সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার বলেন,’মৃতদেহের সন্ধান অব্যাহত থাকবে। তবে সমুদ্রের তলায়,ভূপৃষ্ঠের দুই মাইল নিচে একটি ‘অবিশ্বাস্যভাবে জটিল পরিবেশ’ রয়েছে । এমন পরিবেশে মৃতদেহগুলোর সন্ধান করা অনেক চ্যালেঞ্জিং এবং না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো । কিন্তু মৃতদেহ বা টাইটানের কোনো অবশেষ আদপেই উদ্ধার করা যাবে কি না তা আমাদের জানা নেই ।’।