এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২৩ জুন : ঈদের সময় গোটা বাংলাদেশ জুড়ে কয়েক লক্ষ গরুর কোরবানি দেওয়া হয় । বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সড়কপথগুলিতে ওইদিন গরু ও ছাগলের রক্তের কার্যত স্রোত বয়ে যায় । ঈদের অনেক আগে থেকেই গরু-ছাগল প্রভৃতি প্রাণী সংগ্রহ করে রেখে দেয় মুসলিম গৃহস্থরা । এদিকে গরু বিক্রির বাজার ধরতে বাংলাদেশ জুড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরু চোরের সংখ্যা । সারা বছর দেশের বিভিন্ন জায়গায় চুরি, ডাকাতি,ছিনতাই করা দুষ্কৃতী চক্রগুলি ঈদের মরশুমে রাজধানী ঢাকামুখী হচ্ছে । এর বাইরেও কিছু মানুষ বিনা পুঁজির এই ব্যবসা করতে ওই দুষ্কৃতীদলের সঙ্গে ভিড়ে যাচ্ছে । তারা মূলত ঢাকার আশেপাশের এলাকায় গৃহস্থ ও গরুর খামারগুলিকে টার্গেট করছে । গভীর রাতে হানা দিয়ে গরু চুরি করে চম্পট দিচ্ছে ওই দুষ্কৃতীদল । গরু বোঝাই তিনটি ট্রাকসহ এমন এক চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এই তথ্য জানতে পেরেছে বাংলাদেশের পুলিশ ।
বাংলাদেশের পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিগত ৭ থেকে ৮ মাসে ঢাকার ধামরাইয়ে ৬টি গরু চুরির অভিযোগ দায়ের হয় । এছাড়া এপ্রিলে ভার্কুতায় চারটি গরু এবং সর্বশেষ গত ১৬ জুন নবাবগঞ্জ বান্দুরার এক ব্যক্তির তিনটি গরু চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল । অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে একটি দুষ্কৃতী চক্রের হদিশ পায় । শেষে ওই চক্রের আট সদস্যকে সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে । ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে শুধু তারাই নয়,এমন অসংখ্য দুষ্কৃতী ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশে গোপন ডেরায় আত্মগোপন করে সুযোগের অপেক্ষায় বসে আছে ।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোহম্মদ আসাদুজ্জামান জানান,ঈদের প্রাক্কালে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে । ওই চক্রের অধিকাংশ সদস্যরা মূলত কুখ্যাত দুষ্কৃতী । শুধু ঢাকা নয়, পাশাপাশি মানিকগঞ্জ, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগে মামলা চলছে । ধৃতদের জেরা করে জানা গেছে যে গরু চুরি করতে তারা কখনো ট্রাক ভাড়া নেয়, আবার কখনো ট্রাক ছিনতাইও করে ।
তিনি আরও জানান,এই চক্রগুলির সাথে এলাকার কসাইদের যোগাযোগ রয়েছে ৷ গরু চুরির পর সরাসরি তারা ওই সমস্ত কসাইদের কাছে বিক্রি করে দেয় । এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় গরুর হাটে গিয়েও তারা গরু বিক্রি করে । তবে ঢাকার আশেপাশে এমন কতগুলি চক্র সক্রিয় আছে তা স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি পুলিশ সুপার ।।