এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২০ জুন : কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে হবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন । সুপ্রিম কোর্টে ধোপে টিকল না রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোনও যুক্তি । পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর রিট পিটিশনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সমস্ত জেলার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ করার নির্দেশ দিয়ে ১৫ জুন কলকাতা হাইকোর্টের আদেশকে বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট । কলকাতা হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদনের শুনানি করছিল বিচারপতি বিভি নাগারথনা এবং মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ । আজ মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালত জানায়,হিংসার আবহে স্বচ্ছ, এবং অবাধ নির্বাচন কোনওভাবেই সম্ভব নয় ৷ নির্বাচনের আয়োজন মানে হিংসাকে ছাড়পত্র দেওয়া নয়,এটা মনে রাখতে হবে ।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৌঁসুলি সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিদ্ধার্থ আগরওয়াল দাবি করেছেন যে কলকাতা হাইকোর্ট ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাহিনী সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে, যেন রাজ্যের বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে অক্ষম । এর ভিত্তিতে
সর্বোচ্চ আদালত উল্লেখ করেছে যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনান্য রাজ্য থেকে বাহিনী চেয়েছে, এতেই প্রমাণ যে রাজ্য নিজেই মনে করে যে তার বাহিনী অপর্যাপ্ত। আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যে নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের খরচ ১৫ জুনের আদেশ অনুসারে ভারত সরকার বহন করবে । আদালত বলেছে,নির্বাচন হওয়া হিংসার লাইসেন্স হতে পারে না এবং হাইকোর্ট আগেও হিংসার ঘটনা দেখেছে । ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে রাজ্যে হিংসার সাক্ষী থেকেছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তাদের এই সিদ্ধান্ত৷ নির্বাচন হিংসার সাথে হতে পারে না । যদি প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন জমা দিতে নাই পারেন তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কোথায় ?
এদিকে সর্বোচ্চ আদালতের এদিনের এই রায়কে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে একটা জোর ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে । পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীসহ বিরোধী দলের নেতারা কমিশনের বিরুদ্ধে স্তাবকতা এবং পক্ষপাতিত্বের যে অভিযোগ তুলেছিল এদিনের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর পড়ল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহল ।।