এইদিন ওয়েবডেস্ক,বালাসোর,২০ জুন : বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনায় ওড়িশার সোরো বিভাগের (Soro section)অধীনে কাজ করা সিগন্যাল জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আমির খানের ভাড়া বাড়ি সিল করে দিয়েছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) । জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার বালাসোরের সোরোতে পরিবার নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন । গত ২ জুন বাহানাগা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ট্রিপল ট্রেন ট্র্যাজেডির ঘটনার পর থেকে পরিবারসহ নিখোঁজ রয়েছেন আমির খান । তবে পালানোর আগে সিবিআই-এর তদন্তকারী দল তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল । তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই ইঞ্জিনিয়ার ।
প্রসঙ্গত, রেলের সিগন্যাল সরঞ্জাম, ট্র্যাক সার্কিট, পয়েন্ট মেশিন এবং ইন্টারলকিং সিস্টেমের ইনস্টলেশন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের দায়িত্ব সামলানোর দায়িত্ব মূলত সিগন্যাল জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের উপর । সুতরাং রেলযাত্রীদের ভাগ্য অনেকাংশে সিগন্যাল জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের হাতে । বালাসোরের দূর্ঘটনাটিও ঘটেছিল ইন্টারলকিং সিস্টেমের ত্রুটির কারনে । দূর্ঘটনার দিন বাহানাগা বাজার স্টেশনের একটু আগে লুপ লাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি পণ্যবাহী ট্রেন । করোমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি মেইন লাইন থেকে লুপ লাইনে সরে গেলে পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে । করোমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । সেই সময় বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট মেইন ডাউন লাইনের উপর দিয়ে যাচ্ছিল । করোমন্ডলের বগিগুলি সেই ট্রেনের উপর উড়ে এসে পড়লে বড়সড় দূর্ঘটনা ঘটে যায় । দূর্ঘটনায় আজ অবধি ২৯১ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং ৯০০ জনেরও বেশি রেলযাত্রী আহত হয়েছে ।
গত ৬ জুন মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই ।সিবিআই দল ঘটনাস্থলে তদন্ত করার পরে ১৬ জুন বালাসোর ছেড়েছিল । কিন্তু সোমবার হঠাৎ করে বালাসোর ফিরে এসে পরিবারসহ নিখোঁজ সিগন্যাল জেই-এর ভাড়া বাড়িটি সিলগালা করে দেয় সিবিআই । তবে দূর্ঘটনার দিন ইন্টারলকিং সিস্টেমের ত্রুটি ইচ্ছাকৃত নাকি অন্য কারনে তা এখনো স্পষ্ট নয় । এদিকে ঘটনার তদন্ত চলাকালীন সিগন্যাল জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের বেপাত্তা হয়ে যাওয়ায় নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে ।।