এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৭ জুন : দেশকে দূর্বল করার জন্য ভারত বিভাজন ছিল চতুর ব্রিটিশদের একটা সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র । আর সেই ষড়যন্ত্রে শরিক হয়েছিল তৎকালীন ভারতের কিছু নেতা । নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু থাকলে আদপেই কি ব্রিটিশদের ভারত বিভাজন সম্ভব হত ? এনিয়ে আজও চর্চা হয় দেশে । জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভালের মত ব্যক্তিত্বও এনিয়ে ইতিপূর্বে খোলাখুলি মত প্রকাশ করেছেন । তাঁর মতে, নেতাজি থাকলে ভারত বিভাজনই হত না । ফের একবার একই কথা বললেন অজিত ডোভাল । আজ শনিবার তিনি ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু মেমোরিয়ালে’ বক্তৃতা দেওয়ার সময় একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন,’নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু থাকলে ভারত বিভাজনই হত না। মহম্মদ আলী জিন্নাহও বলেছিলেন যে তিনি কেবল একজন নেতাকে মেনে নিতে পারেন এবং তিনি হলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। নেতাজির প্রচেষ্টায় কেউ সন্দেহ করতে পারে না, মহাত্মা গান্ধীও তাঁর ভক্ত ছিলেন ।’
দোভাল বলেন,’নেতাজি বলেছিলেন যে আমি সম্পূর্ণ স্বাধীনতার চেয়ে কম কিছুতেই মীমাংসা করব না। তিনি শুধু এই দেশকে রাজনৈতিক পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে চাননি, তিনি বলেছিলেন যে মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মানসিকতার পরিবর্তন দরকার এবং তারা যেন আকাশে মুক্ত পাখির মতো অনুভব করে। নেতাজির মনে চিন্তা এলো যে আমি ব্রিটিশদের সাথে যুদ্ধ করব, আমি স্বাধীনতা ভিক্ষা করব না। এটা আমার অধিকার এবং আমি তা অর্জন করব । কিন্তু সেই সময়ে কেবল একজন জাপান নেতাজি বোসের পাশে ছিল, এর বাইরে তখন তিনি সম্পূর্ণ একা ছিলেন ।’
অজিত দোভালের কথায়,’ভারত বা বিশ্বের ইতিহাসে খুব কম মানুষ রয়েছেন যারা প্রবাহের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস করেছিল । নেতাজি বোস সেই সাহস দেখিয়েছিলেন এবং এমনকি তিনি মহাত্মা গান্ধীকেও চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখতেন । মহাত্মা গান্ধী তখন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শীর্ষে ।’ পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন যে ইতিহাস বোসের প্রতি নির্দয় ছিল। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অবদানকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন ।।