সূচনা গাঙ্গুলি,দূর্গাপুর(পশ্চিম বর্ধমান),১২ জুন : গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুরের বুকে যেভাবে বিভিন্ন মনীষীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে একের পর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে তাতে খুব শীঘ্রই এই শহর সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার পীঠস্থান হিসাবে গণ্য হবে তাতে সাংস্কৃতিক প্রেমী দুর্গাপুরবাসীর মনে কোনো সন্দেহ নাই। শুধু মনীষীদের জন্মদিন পালন নয়, মাঝে মাঝে এখানে সমাজ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজনও হয়ে থাকে। অনুষ্ঠানগুলি কখনো ঘরোয়াভাবে কখনো সামগ্রিকভাবে আয়োজিত হয়।
নবীন থেকে প্রবীণ এবং সঙ্গে শিশুশিল্পী মিলে প্রায় পঞ্চাশ জন শিল্পীর উপস্থিতিতে শহরের সুপরিচিত শিল্পী তরুণ সাহা, চন্দন পাল ও শুভ্রা পালের উদ্যোগে গত রবিবার দুর্গাপুরের বি-জোন টাউনশিপে শুভ্রা দেবীর বৈঠকখানায় বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্মজয়ন্তী পালিত হয়।
প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন শিল্পী তরুণ সাহা। তাকে সহযোগিতা করেন অন্যান্যরা। উপস্থিত শিল্পীরা একে একে বিদ্রোহী কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। এরপর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। নজরুল গীতি, নৃত্য ও আবৃত্তি পাঠের সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে কবির জীবনের নানা দিক নিয়ে ভাবগম্ভীর অথচ মননশীল আলোচনা – সব মিলিয়ে পাঁচ ঘন্টা ব্যাপী এক উপভোগ্য সান্ধ্য অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকার সুযোগ পায় উপস্থিত শ্রোতারা।
এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা শুভ্রা পাল উপস্থিত শিল্পীদের কপালে চন্দনের ফোঁটা পড়িয়ে বরণ করে নেন।অনুষ্ঠানের শেষে চন্দন পাল ও তরুণ সাহা তাদের হাতে তুলে দেন নজরুল স্মারক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্চনা সিংহরায়, কাকলি রায়, বৃষ্টি মুখার্জ্জী, স্মৃতিকণা তোপদার, কুহেলী চ্যাটার্জ্জী, শিবায়ন চ্যাটার্জ্জী, রেশমী ভৌমিক, শিল্পী সেনগুপ্ত, অঙ্কিত ঘোষ, মৃন্ময়ী রায়, শিশু শিল্পী সায়ন ঘোষ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাচিক শিল্পী অন্তরা সিংহরায় ও লক্ষ্মী চ্যাটার্জ্জী।
তরুণ বাবু বললেন,আমাদের লক্ষ্য হলো দুর্গাপুরের বুকে বাংলার সুষ্ঠু সংস্কৃতির ধারাকে ছড়িয়ে দেওয়া। অপসংস্কৃতির হাত থেকে বর্তমান প্রজন্মকে রক্ষা করা। আমার আশা সবার মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই সফল হব।।