আমিরুল ইসলাম,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৮ এপ্রিল : ভাতার বিধানসভায় বিজেপি বা সিপিএমের প্রার্থীদের বয়সের নিরিখে তিনি অনেক প্রবীন । কিন্তু গ্রামে গ্রামে পায়ে হেঁটে ভোটের প্রচারে তাঁর জুড়ি মেলা ভার । বয়সের সীমাবদ্ধতা ভুলে ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিদের কার্যত টেক্কা দিচ্ছেন ভাতারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ৬৬ বছরের মানগোবিন্দ অধিকারী । শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিত্যানন্দপুর অঞ্চলের একাধিক গ্রাম দাপিয়ে বেড়ালেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা । তবুও প্রচার শেষে সন্ধ্যায় তাঁর চোখে মুখে ক্লান্তির লেশমাত্র দেখা যায়নি । মানগোবিন্দবাবুর এই অদম্য জীবনী শক্তি দেখে বিস্মিত এলাকাবাসী ।
প্রার্থীর নাম ঘোষনার আগে থেকেই ভোটের প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানগোবিন্দ অধিকারী । তারপর দল তাঁকে প্রার্থী করলে বেড়েছে দায়িত্ব । ভাতার ব্লকের ১৪ টি অঞ্চলের দলীয় কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি এক একদিন ৫-৬ টি গ্রামে ভোটার প্রচার করে যাচ্ছেন । এই তীব্র গরমের মধ্যে যেখানে অন্য দলের প্রার্থীরা গাড়িতে চড়ে প্রচার করতে হিমসিম খাচ্ছেন, সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে গ্রামে গ্রামে পায়ে হেঁটে প্রচার করে যাচ্ছেন মানগোবিন্দ অধিকারী ।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম ভাতারের একাধিক গ্রামে প্রচার করেছিলেন মানগোবিন্দ অধিকারী । এদিন শুক্রবার নিত্যানন্দপুর অঞ্চলের কালিটিকুড়ি, নিত্যানন্দপুর, মঞ্জুলা ,কালিপাহাড়ি, ডাঙ্গাপাড়া, ভৈরবপুরসহ একাধিক গ্রামে ভোটের প্রচার করতে দেখা যায় তাঁকে । তাঁর সঙ্গে ছিলেন নূর আলম শেখ, জুলফিকার আলী, কাকলি সামন্তর নেতা বা নেত্রীরা । কিন্তু তাঁরা সকলেই মানগোবিন্দবাবুর থেকে বয়সে নবীন । তা সত্ত্বেও বর্ষীয়ান মানগোবিন্দ অধিকারীর সঙ্গে গ্রামে গ্রামে পায়ে হেঁটে প্রচার করতে গিয়ে তাঁদের কার্যত হিমসিম খেতে হয় । সত্তর ছুঁই ছুঁই মানগোবিন্দবাবুর জীবনী শক্তি বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে এলাকায় ।
মানগোবিন্দবাবু বলেন, ‘এদিন নিত্যানন্দপুর অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে ভোটের প্রচারে করলাম ।মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি । এই অঞ্চল থেকে নুন্যতম পাঁচ হাজার ভোটে লিড পাবো । আমি জিতছিই ।’।