এইদিন ওয়েবডেস্ক,কানপুর,১২ জুন : মন্দিরের প্রসাদ খেয়ে ছেলের দৃষ্টি শক্তি ফিরে এসেছে- এই বিশ্বাসে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাবুপুরোয়ার বাসিন্দা প্রতিবন্ধী মুসলিম মহিলা রানী বেগম ও তার ২৬ বছর বয়সী ছেলে জুনায়েদ হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন । ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে, রানীর স্বামী খুরশিদ অনেক আগেই মারা গেছেন । বর্তমানে কানপুরের বিজেপি নেতা সতীশ মাহানার বাড়িতে ভাড়া থাকেন রানি বেগম । তিনি জানান,জুনায়েদের জন্মের সময় তার চোখে কিছু সমস্যা ছিল । কয়েক বছর পর তার ছেলে সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। তার ছেলের অনেক জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছিলেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি । তিনি দাবি করেন,এক হিন্দু প্রতিবেশী তাকে শোভন সরকারের মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখানে পাওয়া প্রসাদ খাওয়ার পর থেকেই তার ছেলের একটু একটু করে দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে । এই অলৌকিক ঘটনার পরে, হিন্দু ধর্মের প্রতি তার এবং তার ছেলের বিশ্বাস আরও বেড়ে যায় ।
জানা গেছে,২০১৯ সালে কানপুরের বিন্দকি এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় রানি বেগমের ছেলে জুনায়েদের । মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জুনায়েদ ও তার মায়ের হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসের কথা জানতে পারলে তারা খুবই ক্ষুব্ধ হয় । জুনায়েদের শ্বশুরবাড়ির লোকজন রানী বেগমকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে প্রাণে মারার।ষড়যন্ত্র করে বলে অভিযোগ । ইদানিং তারা মা ও ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিতে শুরু করেছে । একারণে জুনায়েদ স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ।
কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিলে গত ৯ জুন তিনি কানপুরের ডিসিপি শিবজি শুক্লার সাথে দেখা করে নিরাপত্তার জন্য আবেদন জানান । অবশেষে ডিসিপি-র নির্দেশে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ।
গলায় রুদ্রাক্ষের মালা,হাতে ভগবান গনেশের মূর্তি ও গেরুয়া পোশাক পরে জুনায়েদ তার মা রানী বেগমকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,’গণেশ জি আমাদের জন্য অত্যন্ত শুভ। ৫ বছর ধরে ঘরে ভগবান গনেশের মূর্তি রেখেছি । গেরুয়া পোশাক আমাকে শান্তি দেয় । এই কারনে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে ।’ জুনায়েদ জানান,তার হিন্দু প্রতিবেশীরা সর্বদা সঙ্গ দেয় এবং তাদের উপকার করার চেষ্টা করে ।।