এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,১০ জুন : বিয়ের পর স্ত্রীর মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নজরে পড়ে স্বামীর । স্বামী বুঝতে পারেন তার স্ত্রী আগে থেকেই অন্য পুরুষের সাথে গোপন সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছে । বিষয়টি নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসাও হয় । এদিকে অবৈধ সম্পর্ক ধরে ফেলায় বিয়ের পরদিনেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রজু করে দেয় স্ত্রী । মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্বামী । শেষ পর্যন্ত স্বামীর আবেদনের ভিত্তিতে ওই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের মল্লেশ্বর এলাকায় ।
কানাডাপ্রভা ডট কমের প্রতিবেদনে জানা গেছে,ওই দম্পতি দু’জনেই সিলিকন হোন্ডায় কাজ করেন । সেই সূত্রে দু’জনের মধ্যে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । চলতি বছরের ২৭ শে জানুয়ারী একটি মন্দিরে গিয়ে প্রায় ১০০ জন আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে তারা মালাবদল করে বিয়ে করেন । পরের দিন দম্পতি মল্লেশ্বরের সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে হাজির হয়ে তাদের বিবাহ নিবন্ধন করেন । ওইদিন স্ত্রীর মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ চেক করতে গিয়ে স্বামীর চোখ কার্যত কপালে উঠে যায় । দেখেন তার স্ত্রী অবৈধ সম্পর্কে জড়িত এবং সেই সম্পর্ক তিনি চালিয়েও যাচ্ছেন । এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয় । এদিকে অবৈধ সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় স্ত্রী তার স্বামীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় এবং দাম্পত্য সম্পর্ক শেষ করার হুমকি দেয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,ঝামেলার প্রায় দীর্ঘ প্রায় ৩২ দিন পর স্বামীর বিরুদ্ধে ভাইয়ালি কাভাল থানায় মারধর ও ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর রজু করেন স্ত্রী । মহিলা পুলিশের কাছে দাবি করেন যে তাকে মাদক খাইয়ে বিয়ে করা হয়েছে এবং সাব রেজিস্ট্রার অফিস স্বাক্ষরের কথা কিছুই তার মনে নেই । মহিলার আরও অভিযোগ,তিনি আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন । তাই দ্বিতীয় বিয়ের পর সেক্স করা ধর্ষণের সামিল ।
এদিকে মহিলার স্বামী তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ বাতিল চেয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম নাগপ্রসন্নের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শহরের ভাইয়ালি কাভালে নথিভুক্ত করা অভিযোগ এবং স্ত্রীর আবেদনের উপর স্থগিতাদেশ দেন । দম্পতির বিয়ের ছবি ও ভিডিও পরীক্ষা করে আদালত দেখতে পায় যে অভিযোগকারিনী বিয়ের দিন এবং বিবাহ নিবন্ধনের দিনে তার নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছিলেন । মহিলা আইনের অপব্যবহার করেছেন । বিবাহের সময় উপস্থিত স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বলে জানা গেছে ।।