দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৭ জুন : গত ২৯ মে রাতে কাটোয়া রেলস্টেশনের ২ নম্বর ও ৩ নম্বর প্লাটফর্মের মাঝে ফুটওভার ব্রিজের ওপরে বেআইনি অস্ত্র লেনদেনের সময় আন্তঃরাজ্য অস্ত্র পাচারকারী চক্রের তিন পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(এসটিএফ) । উদ্ধার হয়েছিল তিনটি ৭ এমএম পিস্তল, ১৪ রাউন্ড গুলি এবং ৬ টি ম্যাগাজিন । ধৃতদের মধ্যে একজন ছিল বিহারের মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা অস্ত্র পাচারকারী শ্রীলাল মণ্ডল । বাকি দু’জন হল মুর্শিদাবাদ জেলার নওয়াদা থানা এলাকার কাওসার শেখ(৪২) এবং মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুদীপ খান(২৫) । কাওসার ও সুদীপ সম্পর্কে মামা-ভাগনে । ধৃতদের ৮ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল এসটিএফ । ধৃতদের জেরা করে এসটিএফ জানতে পেরেছে মুর্শিদাবাদের ‘মামা-ভাগনে’ জুটি দাগি দুষ্কৃতী । তারা দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি অস্ত্র পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে । আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য তারা মুঙ্গের থেকে অস্ত্র এনে মজুত করে রাখছিল । সময় মত অস্ত্রগুলি চড়া দামে বিক্রি করার মতলব করেছিল তারা ।
অন্যদিকে মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা অস্ত্র পাচারকারী শ্রীলাল মণ্ডল সম্পর্কে এসটিএফ জানতে পেরেছে যে সে বিহারের মুঙ্গেরে এক বড়সড় আগ্নেয়াস্ত্র পাচারকারীর অধীনে সাপ্লাইয়ার্সের কাজ করত । খরিদ্দারদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দেওয়া ছিল তার কাজ । প্রতিটি ডিল পিছু সে ২,০০০ টাকা পেত । ইতিপূর্বেও সে অস্ত্রপাচারের সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল । ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর হুগলীর শ্রীরামপুর থানার পুলিশ তাকে অস্ত্র পাচারের সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে । দীর্ঘদিন জেল খাটে শ্রীলাল মণ্ডল । জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ফের সে পুরনো পেশায় ফিরে যায় ।
কিন্তু বিহারের মুঙ্গেরের আগ্নেয়াস্ত্র পাচারকারী যে চক্রের অধীনে শ্রীলাল মণ্ডল কাজ করছিল, তার মূল পাণ্ডারা এখনো অধরা । ওই চক্রের বাকি পাণ্ডাদের নাগাল পেতে আজ বুধবার ধৃত ৩ জনকে কাটোয়া আদালতে তুলে ফের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় এস টি এফ । আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক চারদিনের জন্য ধৃতদের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷।