এইদিন ওয়েবডেস্ক,আঙ্কারা,২৮ মে : শেষ পর্যন্ত কট্টরপন্থী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের উপরেই আস্থা রাখল তুর্কির জনগন । তুরস্কের রাষ্ট্র-চালিত আনাদোলু এজেন্সি বলেছে যে রবিবারের নির্বাচনের প্রায় সমস্ত ভোট গণনা করা হয়েছে এবং এরদোগান তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগ্লুর উপর নির্ধারক লিড পেয়েছেন । আলব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপের সিনিয়র উপদেষ্টা হাকান আকবাস বলেছেন যে এরদোগান জিতলেও তাকে সম্ভবত একটু চাপের মধ্যেই থাকতে হবে । কারন জয়ের পার্থক্য খুব একটা বেশি নয় । অসমর্থিত সূত্রে খবর, মোট ভোটের ৫০ শতাংশের কিছুটা বেশি ভোট পেয়েছেন এরদোগান । সেখানে এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় দলীয় বিরোধী জোটের প্রার্থী উদারপন্থী দলের নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লু পেয়েছেন প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোট ।
হাকান আকবাস বলেন,’এটি একটি খুব মেরুকৃত দেশ – প্রায় ৫০/৫০ । ৫২-৪৮ নম্বরের যত কাছাকাছি জয়ের ব্যবধান হবে, এরদোগানকে তত বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে । এর অর্থ, সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য তাকে সংসদে বিরোধীদের প্রাধান্য দিতে হবে ।’ তিনি আরও বলেছেন যে এই নির্বাচন এরদোগানের জন্য অবশ্যই একটি কঠোর সতর্কবাণী । ২০১৮ সালের তুলনায় তার ভোটের হার কমে গেছে ।’
গত ১৪ মে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডের ভোটে কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি । তুরস্কের আইন অনুযায়ী বিজয়ী হতে গেলে নুন্যতম ৫০ শতাংশ ভোট পেতেই হবে । সেখানে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের ভোট ছিল ৪৯.৫২ শতাংশ, কামাল কিলিকদারোগ্লু ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন, নির্দল প্রার্থীদের নেতা সিনান ওগান পেয়েছিলেন ৫,১৭ শতাংশ মানুষের সমর্থন । দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে এরদোগানকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিলেন ওগান । আর তার সমর্থনের কারনেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এরদোগান জয় পেতে সক্ষম হলেন বলে মনে করা হচ্ছে ।।

