এইদিন ওয়েবডেস্ক,২৭ মে : বাগেশ্বর ধাম সরকারের প্রধান পন্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর ‘দিব্য দরবার’-এ এসে সনাতন ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন বাংলাদেশি মুসলিম মহিলা । দরবারের মঞ্চে ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী ও ওই মহিলার কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী মহিলার নাম ও ঠিকানা প্রকাশ না করে বলেন,’
আমার এক বোন বাংলাদেশ থেকে এসেছেন । উনি সনাতন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন ।’
মহিলাকে কাঁদতে কাঁদতে বলতে শোনা গেছে, ‘বাগেশ্বর ধামের অনুষ্ঠান ইউটিউবে দেখে আমি সনাতন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন । বিগত ৬-৭ মাস ধরে পন্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীজির দিব্য দরবার দেখছি । দিব্য দরবার দেখে আমি মনে শান্তি পাই । রোজ রাম নাম জপ করি । তার উপলব্ধি হয় সনাতন ধর্মের মত শ্রেষ্ঠ ধর্ম আর কিছু হয়না ।’
পন্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী বলেন,’এটা জরুরি নয় যে সনাতন ধর্ম পালন করার জন্য নিজের ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে । ধর্ম পরিবর্তন করেও সনাতন ধর্ম পালন করা যায় । আপনি কি চাইছেন বলুন?’
তখন মহিলা বলেন,’আমি চাই এই ধর্মে এসে আমি আপনাকে ভাই হিসাবে পেতে ।’ উত্তরে বাংলাদেশি ওই মুসলিম মহিলাকে সনাতন ধর্মে স্বাগত জানিয়ে ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী বলেন,’আপনি আমার বোন ।’ পাশাপাশি দিব্য দরবারে উপস্থিত সাংবাদিক ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিদের মহিলার ছবি প্রকাশ্যে না আনার জন্য পন্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী অনুরোধ করেন ,যাতে মহিলার স্বজাতীয়দের তরফ থেকে তাকে কোনো প্রকার বিরোধ বা হামলার মুখোমুখি না পড়তে হতে হয় ।
মহিলা জানিয়েছেন,তিনি বাংলাদেশ থেকে বাসে ভারতে এসেছেন । কিন্তু ভিসা নিয়ে তাকে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল । দু’তিন বার চেষ্টা করেও যখন ভিসা হয়নি তখন তিনি হতাশ হয়ে গুরুজির(পন্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী) উপর অভিমান করেন ৷ প্রতিজ্ঞা করেন গুরুজির না চাইলে তিনি ভারতে যাবেন না । তার পরের দিনই অলৌকিক ভাবে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়,আর তার ভিসা হয়ে যায় ।
ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী ওই বাংলাদেশি মহিলাকে বারবার জিজ্ঞাসা করেন,তিনি কারোর চাপে বা প্রলুব্ধ হয়ে সনাতনে আসতে চাইছেন কিনা । উত্তরে মহিলা বলেন,’তাই আমি চাই বাকি জীবন রাম নাম করে কাটিয়ে দিতে ।’ তবে ঘটনাটি কবে ও কোথায় ঘটেছিল তা ভিডিওতে কিছু স্পষ্ট নয় ।।