দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৬ মে : বিডিও’র ডাকা বৈঠকে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়ালেন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম-২ ব্লকের অমরপুর পঞ্চায়েতের প্রধান এবাদত শেখ ও একই ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলী । যুযুধান দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার এহেন দ্বৈরথে কার্যত হতভম্ব হয়ে যান বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বৈঠকে উপস্থিত ব্লকের বাকি পঞ্চায়েতের প্রধানরা । সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিডিও তাঁর চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের দুই নেতাকে হাতাহাতি করতে নিষেধ করছেন । তবে তাঁর নিষেধ অমান্য করেই চলে দুই নেতার ধাক্কাধাক্কি ।
জানা গেছে,এলাকাবাসীকে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের উদ্দেশ্যে আউশগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে মাস তিনেক আগে অমরপুর পঞ্চায়েতের ভূয়েরা ও আদুরিয়া গ্রামে একটি করে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর জন্য টেণ্ডার ডাকা হয়েছিল । টেণ্ডার পেয়েছেন স্থানীয় এক ঠিকাদার । এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও ভূয়েরা গ্রামের কোন পাড়ায় ওই সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত । আর এই বিবাদের জেরে এতদিন পাম্প বসানোর কাজ স্থগিত রাখতে হয় প্রশাসনকে ।
জানা যায়,সেই জট কাটানোর উদ্দেশ্যেই বৃহস্পতিবার নিজের অফিসের একটা বৈঠক ডেকেছিলেন আউশগ্রাম-২ বিডিও । বৃহস্পতিবার বিকেলের ওই বৈঠকে বিডিও ছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন । কিন্তু বৈঠক চলাকালীন তৃণমূলের দুই নেতা এবাদত শেখ ও হায়দার আলীর মধ্যে প্রথমে তুমুল বচসা শুরু হয় । তারই মাঝে দু’জন নিজের নিজের চেয়ার থেকে উঠে পরস্পরের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে । দুই নেতা জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতিতে । এদিকে বৈঠকে বিবাদের নিরসন না হওয়ায় ভূয়েরা গ্রামের সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর কাজ আদপেই হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । যদিও বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,সাবমার্সিবল পাম্প কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য তিনি ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছেন ।
দেখুন ভিডিও 👇
হাতাহাতির ঘটনা প্রসঙ্গে আজ শুক্রবার অমরপুর পঞ্চায়েতের প্রধান এবাদত শেখের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ওটা এমন কিছু ঘটনা নয় ।’ পাশাপাশি তার অভিযোগ,’জায়গা নিয়ে বিবাদের জেরে পাম্প বসানোর কাজ আটকে আছে । ফলে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ । একথাই আমি বৈঠকে বলতে চেয়েছিলাম । কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমায় কথাই বলতে দিচ্ছিল না । তাই অল্পবিস্তর কথা-কাটাকাটি হয় ।’ অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলী জানান,পাম্প বসানোর কাজ না হওয়ায় পঞ্চায়েতের প্রধান ক্ষুব্ধ । আর সেই কারনে বৈঠক চলাকালীন তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন ।।