এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২৬ মে : নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-এ-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির উপর । ইতিপূর্বেই পাকিস্তানের মুসলিম লীগ (এন)-এর কিছু নেতা পিটিআইকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিল । এবারে পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন যে তার দল চরমপন্থা ও সহিংসতা প্রচারের জন্য পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার কোনো পদক্ষেপকে প্রতিহত করবে না । এর আগে তিনি মুসলিম লীগ (এন)-এর প্রস্তাবকে সমর্থন করেননি । বর্তমানে তার সুর বদলের ফলে অশনি সঙ্কেত দেখছে পিটিআই-এর নেতা ও কর্মীরা ।
বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,’আমি ফেডারেল মন্ত্রিসভায় পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলাম কিন্তু এখন আমরা কিছু করতে পারি না কারণ তারা (পিটিআই) রেড লাইন অতিক্রম করেছে । কোন রাজনৈতিক দল যদি জঙ্গি সংগঠনে পরিণত হতে চায় তাহলে আমরা কি করতে পারি ?’
গত ৯ মে দাঙ্গা ও হিংসায় জড়িত পিটিআই সমর্থকদের বিচারের জন্য সামরিক আদালত স্থাপনের বিষয়ে পিপিপি চেয়ারম্যান বলেছেন যে তার দল আইন ও সংবিধানের অধীনে যে কোনও কিছুকে সমর্থন করবে । যদিও তিনি আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫২-এর অধীনে বিচারকে সমর্থন করেছিলেন, কিন্তু পিপিপি নেতা নতুন সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠার জন্য সাংবিধানিক সংশোধনের সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন । এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আর্মি অ্যাক্টের অধীনে আদালত গঠন করা যেতে পারে এবং এর জন্য কোনো সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই।’
যদিও পিপলস পার্টির মধ্যে সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠা এবং পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার উভয় বিষয়েই ভিন্ন মতামত রয়েছে । পিপিপি নেতা ফারহাতুল্লাহ বাবর বলেছেন যে গত ১৯ মে পিপিপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (সিইসি) বৈঠকের পর প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিলেন । সিইসি বৈঠকে পিপিপির কিছু নেতার মতামত ছিল যে পিটিআইকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা উচিত । কিন্তু অন্যরা এতে সায় দেয়নি । পিটিআই নেতাদের দলত্যাগের বিষয়ে তিনি চিন্তা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্যান্য দলগুলিও অতীতে এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে ।’।