সমস্ত দিনের শেষে জিরাফের গলার মত
ক্লান্তি নামে;
কালঘুমে আচ্ছন্ন এক গোখরো
হঠাৎই ওঠে জেগে;
উগরে দেয় শতাব্দীর বিষ যত।
নাচতে নাচতে এলোমেলো কিছু দখিনা হাওয়া হঠাৎ লুটিয়ে পড়ে ছাদের কার্নিশে;
কানে ভেসে আসে
কোনো এক রাত পাখির শিষ দিয়ে গান গাওয়া।
বিপিনদের রকে গুটিসুটি মেরে শুয়ে
কোনো এক পাগলা দাশু;
ঘোলাটে দুই চোখে সময়ের গরল!
ঠোঁটের দুই ফাঁকে লালা পড়ে গড়িয়ে।
পাড়ার মোড়ে ঘিয়ে ভাজা ছাল ওঠা ভুলোটা
জিভ বের করে হাঁপায়;
শেষ ট্রেনের হুইসেলের মত
চিৎকার করে বলে ওঠে ছেলেটা- “তফাৎ যা, তফাৎ যা”!
ছাদের ওপর পা ছড়িয়ে মাদুর পেতে বসে
সিগারেট ধরাই;
ধোঁয়ার বুদবুদের মতই ক্রমশ
লোভ লালসা হিংসাগুলোকে পাঠাই নির্বাসনে।
ঠিক তখনই হঠাৎ আবিষ্কার করি সৌম্যকান্তি কোনো এক সুদীর্ঘ ছায়া- অবিকল আমারই মত; সোডিয়ামের
হলদেটে আলোয় বৃষ্টি ভেজা সর্ষেক্ষেতের শান্তি যেন।
যাকে খুঁজেছি অহরহ, আসর জলসায়
ভুলেছি লালসায়;
অকস্মাৎ নিঃশব্দে কখন
শিশিরের শব্দের মতই আচম্বিতে এসে ধরা দেয়।
এমনিভাবেই কুয়াশার বুকে হাঁটতে হাঁটতে সমুদ্দুর পেরিয়ে যাই;
কানে কানে সে ফিসফিসিয়ে বলে যায়-
আমি আছি মানেই জেনো কোথাও আছে ঠিক রোদ্দুর ।।