এইদিন ওয়েবডেস্ক,ফ্লোরিডা,২৩ মে : রবিবার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন সৌদি আরবের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী রায়নাহ বারনবী (Rayyanah Barnawi) । তার সফর সঙ্গী হয়েছেন একদল পুরুষ মহাকাশচারী । পেশায় ক্যান্সার গবেষক বারনবী মহাকাশে স্তন ক্যান্সার গবেষণার অগ্রগতির দিকে মনোনিবেশ করবেন । কিন্তু বারনবীর পরনে কোনো হিজাব বা বোরখা ছিল না । ফলে মহাকাশে যাওয়া এই মুসলিম নারী আফগানিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছেন । বহু মহিলা কট্টর ইসলামি তালিবানদের রীতিমতো ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ শুরু করে দিয়েছে ।
এক মহিলা টুইটারে লিখেছেন,’শরিয়া মাহরাম ছাড়া একজন মুসলিম মহিলা দুই পুরুষের সাথে মহাকাশে গিয়েছে । এখন তালিবান কি ফতোয়া জারি করবে ?’ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাগিন খলিলি বলেছেন,’আফগানিস্তানের একজন মহিলাকে মহরম ছাড়া একা হাসপাতালে যেতে দেওয়া হয় না। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের নারী ও মেয়েরা পড়াশোনা ও কাজের অধিকার থেকে বঞ্চিত। প্রশ্ন হলো, দুটি মুসলিম দেশের মধ্যে পার্থক্য কী ? এই মুসলিম নারী মহাকাশে যাচ্ছেন যখন তালিবানরা ক্ষমতায় ফিরে দেশে মাহরাম বা হিজাব ছাড়া নারীদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে ।’
প্রসঙ্গত,আফগান কিশোরী থেকে সমস্ত বয়সের মহিলাদের হিজাব বাধ্যতামূলক করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তালিবান । এমনকি মেয়েদের কোথাও একা ভ্রমণের উপর ফতোয়া জারি করা হয়েছে । তালিবান আসার পর বিগত দু’বছরে আফগান মেয়েদের জীবন কার্যত নরক বানিয়ে দিয়েছে ওই ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি । একজন নারী অধিকার কর্মী বলেছেন,’দুর্ভাগ্যবশত, ইসলামী আমিরাত তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ।’
যদিও সৌদি মহিলা মহাকাশচারী রায়নাহ বারনবীর মহাকাশ যাত্রা নিয়ে তালিবানের অন্যতম মুখপাত্র ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানির মতামত নেওয়ার বারবার চেষ্টা করেছিলেন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা । কিন্তু ওই তালিবান জঙ্গি কোন প্রতিক্রিয়া দেয়নি বলে জানা গেছে । উল্লেখ্য,এযাবৎ ২ মহিলাসহ ১৩ জন মুসলিম ব্যক্তি মহাকাশে ভ্রমণ করেছেন । আনুশেহ আনসারি প্রথম মুসলিম মহিলা যিনি ২০০৫ সালে রাশিয়ান রকেটে চড়ে মহাকাশে গিয়েছিলেন ।।